শিশু হাসানকে বাঁচাতে বাবার আকুতি
ফারহাতুল মাহমুদ হাসান। বসয় মাত্র ১১ বছর। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বনশ্রী শাখার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র।
প্রায় দুই বছর ধরে জটিল রোগ হেপাটাইসিস-সি ভাইরাস ও ব্লাড কান্সার ই-বিটা থ্যালাসিমিয়া (মেজর) রোগে আক্রান্ত শিশু হাসান।
হাসানের বাবা মো. সাদেকুল ইসলাম পেশায় একজন ইলেক্টনিক্স পণ্য ব্যবসায়ী। তিনিই জানালেন, সন্তানের শরীরের বর্তমান অবস্থা।
হাসানকে প্রতি মাসে ৮ ব্যাগ রক্ত দিতে হয়। এ ছাড়া ওষুধসহ অন্যান্য খাতে তার চিকিৎসার জন্য রোজ খরচ হয় প্রায় ১২ হাজার টাকা। ছেলের চিকিৎসার খরচ জোগাতে গিয়ে ব্যবসা প্রায় বন্ধ হয়েছে বলে জানালেন সাদেকুল ইসলাম। নিজের সবশেষ জমিটিও সম্প্রতি বিক্রি করেছেন ছেলের চিকিৎসার জন্য।
এরমধ্যে কিছুদিন আগে চিকিৎসক জানিয়েছেন যে, হাসানের বোন-ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপন করতে হবে। যা ভীষণ ব্যয়বহুল। এই কারণে তিনি ভারতের সিএমসি হাসপাতালে যোগাযোগ করেছিলেন। সেখানকার হেমাটোলজি বা রক্তরোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. অশোক সুভাস্ত বলেছেন বোন-ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন করতে বাংলাদেশি টাকায় প্রায় এক কোটি পঞ্চাশ লাখ টাকা প্রয়োজন হবে।
মো. সাদেকুল ইসলাম ইসলাম আরো বলেন, ‘দুই বছর ধরে ছেলের চিকিৎসা করতে গিয়ে দেশে এবং দেশের বাইরে সব মিলিয়ে প্রায় এক কোটি টাকার উপরে খরচ করেছি। কিন্তু এখন আর্থিকভাবে আমার অবস্থা খুবই দুর্বল। ছেলের বোন-ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন করার মতো এত টাকা আমার কাছে নেই। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ দেশে ও দেশের বাইরে যারা থাকেন সব ভাইয়ের কাছে আমার সন্তানকে বাঁচতে আর্থিক সহযোগিতা কামনা করছি।’
মাত্র ১১ বছরেই হাসানের জীবন থেমে যাওয়া ঠেকাতে পারে সচ্ছল মানুষদের একটু আর্থিক সাহায্য। হাসানকে সহায়তা করতে চাইলে আপনার আর্থিক সাহায্য পাঠাতে পারেন নিচের ঠিকানাগুলোতে।
- মো. সাদেকুল ইসলাম,সঞ্চয়ী হিসাব নং ১২৬৩২০১০০০০০৮৩৮৮ ইউসিবি ব্যাংক, বনশ্রী শাখা।
- মো. সাদেকুল ইসলাম, হিসাব নং ১২৫১১, ইসলামী ব্যাংক, রামপুরা শাখা।
- মো. সাদেকুল ইসলাম, সঞ্চয়ী হিসাব নং ১৯২২১০৭০০১০৪৪০, প্রাইম ব্যাংক, বনশ্রী শাখা।
- মো. সাদেকুল ইসলাম, সঞ্চয়ী হিসাব নং ১৭৮ ১৫১ ১১০৬০৫ ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, রামপুরা শাখা।
- বিকাশ করতে পারেন ০১৮৬৪২৯১৩২৭, ০১৮৬৪২৯১৩২৮ ও ০১৯৭৯৬৪৪৮৮৮ নম্বরে।