পঞ্চগড়ের সেই মহিলা আ.লীগ নেত্রীর জামিন
পঞ্চগড় পৌরসভার কাউন্সিলর ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী কে এ দিলখুশা প্রধান বিপ্লবী জামিন পেয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে পঞ্চগড়ের ১ নম্বর মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির হয়ে দিলখুশা জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর তাঁর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
গত শনিবার স্থানীয় সরকারি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত কর্মী সমাবেশে সাধারণ সম্পাদক পদকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের এক নেত্রীসহ তিনজন আহত হন।
এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী রেবেকা সুলতানা বাদী হয়ে কে এ দিলখুশা প্রধান বিপ্লবীকে আসামি করে পঞ্চগড় থানায় অভিযোগ করেন। পরে পুলিশ কর্মী সমাবেশ থেকে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দাবিদার কে এ দিলখুশা প্রধান বিপ্লবীকে আটক করে। আহত হওয়ায় চিকিৎসার জন্য বিপ্লবীকে পুলিশি হেফাজতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে বিপ্লবী আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আশরাফুন নেছা মোশাররফ ও সাধারণ সম্পাদক পিনু খান পঞ্চগড় জেলা কমিটির সভাপতি পদে রেজিয়া ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক পদে কে এ দিলখুশা প্রধান বিপ্লবীকে মনোনীত করেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এই কমিটি অনুমোদন পায়। কিন্তু বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাফিয়া খাতুন ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম পঞ্চগড় জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জাকিয়া খাতুনকে দায়িত্ব দেন। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দিলখুশা প্রধান বিপ্লবী ও জাকিয়া খাতুন দুজনই পরিচয় দেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
শনিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত কর্মিসভায় জাকিয়া খাতুনের নাম সংবলিত ব্যানার লাগানোয় বিপ্লবীর কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। একপর্যায়ে কেন্দ্রীয় নেত্রীরাও হাতাহাতিতে অংশ নেন। কর্মী সমাবেশ শুরু হলে কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম রেজিয়া ইসলামকে সভাপতি ও জাকিয়া খাতুনকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করলে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। মুহূর্তের মধ্যেই সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ছোটাছুটি করে পালাতে থাকেন। এ সময় রেবেকা সুলতানাসহ তিন নেত্রী আহত হন।
আওয়ামী লীগ নেত্রী কে এ দিলখুশা প্রধান বিপ্লবীর ভাষ্য, কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সভাপতি সাফিয়া খাতুন ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম ১০ লাখ টাকা, বিমানে যাতায়াতের টিকেটসহ বিভিন্ন সুবিধাদি নিয়ে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের অনুমোদিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি বাতিল না করেই সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জাকিয়া খাতুনের নাম ঘোষণা করায় কর্মী সমাবেশে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।