কাজ করতে গিয়ে ধসে পড়ল চান্দিনা থানা
কুমিল্লার চান্দিনা মডেল থানার নির্মাণাধীন ভবনের একাংশ ধসে গেছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিকরা জানান, সকাল থেকে তাঁরা নির্মাণাধীন ভবনের পার্কিং শেডের ঢালাই কাজ করছিলেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ ছাদটি ধসে পড়ে। এতে নির্মাণশ্রমিক সালাম, নূরে আলম ও ডাবলু আহত হন। তাঁদের দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। আহতদের সবার বাড়ি দিনাজপুরে।
দুর্ঘটনার পর গণপূর্ত অধিদপ্তরের জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়েজুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ফ্লোর থেকে ছাদের উচ্চতা বেশি হওয়ায় ও ডাবল স্টেজ করায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে অন্য কিছু নয়।
ছয় কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘প্রমিনেন্ট ইঞ্জিনিয়ার’ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চান্দিনা মডেল থানা ভবন নির্মাণের কাজ করছে।
এদিকে ঘটনাস্থলে গেলে আশপাশের লোকজন ভেঙে পড়া স্থান থেকে পাথরমিশ্রিত কংক্রিটের গুঁড়ো উপস্থিত পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিকদের দেখিয়ে বলেন, ‘হুদা বালু। এখানে কোনো সিমেন্ট-টিমেন্ট নাই। সিমেন্ট দিলেও দুই নাম্বার সিমেন্ট দিছে।’
লাবু নামের একজন শ্রমিক এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আজ ঢালাইয়ের কাজ করার সময় তাঁরা পাঁচ ব্যাগ খোয়া, চার ব্যাগ বালু ও এক ব্যাগ সিমেন্ট দিয়েছেন।
ধসে পড়ার কারণ প্রসঙ্গে লাবু বলেন, ‘নিচের মাথা লোড নিতে পারে নাই। আমরা প্রায়ই এভাবে কাজ করি। এবার যে কীভাবে হইল আমরা বুঝতে পারতাছি না।’
ঘটনাস্থলে উপস্থিত চান্দিনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামরুজ্জামান বলেন, ‘এটা পড়ে গেছে। সবাই দেখছে, আমরাও দেখছি।’
ধসে পড়ার কারণ জানতে চাইলে কামরুজ্জামান বলেন, ‘এটা তো আমরা ভালো বলতে পারব না। এদের সাথে কথা বলতে হবে, দেখতে হবে। এমনিতে লোকজন বলতেছে, বালু আছে, সিমেন্ট নাই। সিমেন্টের পরিমাণ খুবই কম। যে পরিমাণ থাকার কথা, সেটা নাই।’