চুয়াডাঙ্গায় পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিন বাড়িতে চুরি
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, এক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ও সাবেক এক ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়িতে চুরির ঘটনা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে চুয়াডাঙ্গা শহরের এতিমখানা পাড়া ও সরকারি মহিলা কলেজপাড়ায় এসব চুরির ঘটনা ঘটে।
এর আগে গত ২৩ মে রাতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে এম মামুন উজ্জামানের সরকারি বাসভবনে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ২৬ মে রাতে চুয়াডাঙ্গা শহরের গুলশানপাড়ার কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা জিন্নাত আলীর বাড়িতে ডাকাতি হয়। এসব চুরি ও ডাকাতির ঘটনায় পৌর এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কে ভুগছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম বেনজীর জানান, চোরের দল গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে সীমানাপ্রাচীর পার হয়ে ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ড পাড়ার এতিমখানা রোডের ভাড়া বাসার নিচতলায় ঢুকে বারান্দা থেকে পোশাক-আশাক চুরি করে। এ ছাড়া অন্য একটি কক্ষের তালা ভেঙে দুটি বাইসাইকেল ও পোশাক চুরি করে নিয়ে যায়। বিষয়টি তিনি সকালেই পুলিশ সুপার মো. রশীদুল হাসানকে জানান।
এ খবর জানার পর আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পিয়ার আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
একই দিন রাতে শহরের সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজপাড়ায় সদর থানার এএসআই ওহিদুল ইসলামের ভাড়া বাসায় চুরি হয়। ওহিদুল জানান, তাঁর স্ত্রী-সন্তানরা গ্রামে বাড়িতে রয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে তিনি টহল দায়িত্বে ছিলেন। এ সময় চোরেরা বাসার প্রধান দরজার তালা ভেঙে ১০ হাজার টাকা, একটি ২৪ ইঞ্চি এলইডি টেলিভিশন ও জামা-কাপড় চুরি করে। আজ শনিবার সকালে বাসায় ফিরে তিনি এসব দেখেন।
বাসার মালিক ব্যাংক কর্মকর্তা শামসুজ্জামান লিল্টু জানান, দোতলা বাড়ির নিচতলায় ভাড়াটে এবং দোতলায় তিনি স্বপরিবারের বাস করেন। চোরেরা কখন প্রবেশ করেছে তা কেউই টের পায়নি।
একই রাতে সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজপাড়ায় সোনালী ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা হোসেন আলীর বাড়ির গ্রিল কেটে চোরেরা ঢোকে এবং নির্বিঘ্নে চুরি করে চলে যায়। চোরেরা বাড়ি থেকে ১২ ভরি সোনার অলংকার ও এক লাখ ১০ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার পলাশপাড়া-সবুজপাড়া চুরি প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান, আট মাস ধরে এলাকায় রাত পাহারার ব্যবস্থা ছিল। তখন কোনো চুরির ঘটনা ঘটেনি। পয়লা রমজান থেকে পাহারা স্থগিত করায় একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটছে। এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে পুলিশ কর্মকর্তাদের জানানো হবে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত হোসেন জানান, পুলিশ কর্মকর্তাদের দুটি বাসায় চুরির বিষয়টি জেনেছেন। তবে কেউই লিখিত অভিযোগ করেননি।