রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণের ট্রাক আটকানোর তীব্র নিন্দা ফখরুলের
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য নিয়ে যাওয়া বিএনপির ২২টি ত্রাণবাহী ট্রাক পুলিশ আটকে দেওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই প্রতিবাদ জানান মির্জা ফখরুল।
মিলনায়নটিতে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দশম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভা চলছিল। এ সময় কক্সবাজারে ত্রাণের ট্রাক আটকে দেওয়ার কথা সেখান থেকে টেলিফোনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে জানান স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। এ কথা জানতে পেরে আলোচনা সভা চলাকালেই মাইক্রোফোন নিয়ে নিজের নির্ধারিত বক্তব্যের আগেই এই প্রতিবাদ জানান দলটির মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে। রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানো শুধুই আইওয়াশ। রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়াতে চায় না বলেই সরকার এমন জঘন্য কাজটি করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা আরো জানান, মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে ২২টি ত্রাণের ট্রাক রোহিঙ্গাদের সাহায্যের জন্য কক্সবাজারে যায়, কিন্তু পুলিশ সেই বহর আটকে দেয়। এ ছাড়া কক্সবাজারে জেলা বিএনপির কার্যালয়ও পুলিশ ঘিরে রেখেছে বলে জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি ত্রাণ বিতরণে যেন বিঘ্ন না ঘটে।’
সরকার লোকদেখানো কাজ করছে অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘একটা গণ-অভ্যুত্থান করতে হবে। একটা মারধর করতে হবে। সরকার বিচার বিভাগকে প্রতিপক্ষ বানিয়েছে। প্রধান বিচারপতিকে তারা হেয় করেছে। আজকে তাঁরা রাষ্ট্রকে পরনির্ভরশীল এবং একটা দুর্বল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়।’
এ সময় বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।