জামালপুরে ছুরিকাঘাতে ছাত্রলীগ নেতা নিহত, শহরে উত্তেজনা
জামালপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে মমিনুল ইসলাম জিসান নামে এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। নিহত ওই স্কুলছাত্র সিংহজানি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ও একই বিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ছিল।
এ ঘটনায় সড়ক অবরোধ ও দোকানপাট বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীরা।
নিহত জিসানের বাড়ি জামালপুর শহরের মুসলিমাবাদ এলাকায়। তার বাবার নাম মজিবর রহমান।
শহর ছাত্রলীগের সভাপতি নুর হোসেন আবাহনী বলেন, ‘নিহত জিসান সিংহজানি উচ্চ বিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক ছিল। আমরা তার নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে জানা গেছে, জামালপুরের মনোয়ার সিনেমা হলে ঢোকার সময়ে কথাকাটাকাটির জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। গত রোববার রাতে জিসানের সঙ্গে সিনেমা হলের সামনে রাহি ও কাউছার নামে দুজনের কথাকাটাকাটি হয়।
এরপর একই দিন রাত ১২টার দিকে মনোয়ার সিনেমা হল থেকে বের হওয়ার পর রাহি ও কাউছারসহ একদল সন্ত্রাসী জিসানকে আটকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাতেই জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর রাত ২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক সৌমিক কুমার ভৌমিক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে নৃশংস এই হত্যার কথা ছড়িয়ে পড়লে সোমবার সকাল থেকেই এলাকাবাসীসহ জিসানের সহপাঠীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। এরপর এলাকাবাসীসহ সবাই রাহি ও কাউছারসহ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সোমবার সকাল থেকে শহরে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করে। এ সময় শহরের দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
অবরোধ চালাকালে শহরের তমালতলা মোড়ে এক সমাবেশে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতির (এফবিসিসিআই) পরিচালক ও আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল করিম রেজনু, দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরীসহ রাজনীতিকরা অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানান।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন জামালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) রাশেদুল হাসান। তিনি আরো জানিয়েছেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি তৎপরতা চলছে।