৮ মাস পর বাড়ি ফিরলেন মেয়র, আটক ২৭
দীর্ঘ আট মাস আত্মগোপনে থাকার পর বাড়ি ফিরেছেন টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র শহিদুর রহমান খান মুক্তি। পুলিশ আজ শুক্রবার বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা পৌনে ৭টা পর্যন্ত জেলা শহরের কলেজপাড়া এলাকায় মেয়রের বাসায় তল্লাশি চালিয়ে ২৭ যুবককে আটক করে।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে একদল দুর্বৃত্ত মেয়র মুক্তির বাসভবনে ভাঙচুর চালায়। তারা বাসভবনের বাইরে থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে ভবনের বেশ কয়েকটি জানালার কাচ ভেঙে যায়। এর পরই মেয়র মুক্তির বাসভবন ঘিরে রাখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মাহফিজুর রহমান জানান, মেয়র মুক্তি গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে টাঙ্গাইলে নিজ বাসভবনে ফেরেন। তারপর আজ বিকেলে তাঁর বাসভবনে তল্লাশি করা হয়। এ সময় বাসায় অবৈধ কোনো কিছু পাওয়া না গেলেও বাসার নিচতলায় থাকা বহিরাগত ২৭ যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া রাজা ও মোহাম্মদ আলীর আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এই হত্যাকাণ্ডে টাঙ্গাইলের আলোচিত খান পরিবারের চার ভাই টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা ও তাঁর তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান (কাঁকন) ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা জড়িত বলে উল্লেখ করেন। তার পর থেকে আমানুর ও তাঁর ভাইয়েরা আত্মগোপন করেন।
এদিকে গত রোববার আমানুর ও সহিদুর হাইকোর্টে হাজির হয়ে আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হত্যা মামলায় আগাম জামিনের আবেদন করেন। বিচারপতি ফরিদ আহম্মদ ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ শুনানি শেষে গত মঙ্গলবার আমানুর ও সহিদুরকে দুই সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। এ সময়ের মধ্যে তাঁদের গ্রেপ্তার বা হয়রানি না করতেও পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়।