কলেজছাত্র সৈকতের চোখ ঢেকে টিউমার
নরসিংদীর শিবপুর শহীদ আসাদ কলেজের মেধাবী ছাত্র সৈকত গাজী। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে তার চোখের ওপরে থাকা টিউমারের আকার।
শিবপুরের দক্ষিণ সাদারচর ইউনিয়নের সৈয়দেরখলা গ্রামের মোস্তফা গাজীর বড় ছেলে সৈকত গাজী প্রায় ১৪ বছর ধরে তার ডান চোখের ওপর এই টিউমার বহন করে আসছে। সৈকতের এই অবস্থা দেখে অনেকে ভয়ে-আতঙ্ক তার কাছ থেকে সরে যায়। আর এসব কারণে সে নিজেকে সব সময় লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করে। শুধু কলেজে যাওয়া-আসা ছাড়া বাকি সময়টা বাড়িতেই পড়ে থাকতে হয় তাকে।
২০১৬ সালে দক্ষিণ সাদারচর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করে শিবপুর শহীদ আসাদ কলেজে ভর্তি হয় সৈকত। বর্তমানে সে ওই কলেজের এইচএসসি বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন রয়েছে তার। সৈকতের বাবা একজন দরিদ্র কৃষক। পরিবারের ভরণপোষণ করে ছেলের চিকিৎসার খরচ জোগাতে পারছেন না তাঁর বাবা।
কথা হয় সৈকত ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। তার বাবা মোস্তফা গাজী জানান, সৈকতের যখন তিন বছর বয়স, তখন তার ডান চোখে ছোট একটি টিউমার দেখা দেয়। পরে এটি বড় আকার ধারণ করতে থাকলে ১০ বছর বয়সে তাকে ঢাকায় চক্ষু হাসপাতালে নিয়ে অস্ত্রোপচার করা হয়। অস্ত্রোপচারের পর থেকে এটি আরো বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে চিকিৎসকরা জানান, তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করাতে। ছেলের উন্নত চিকিৎসা করার খরচ তাঁর নেই। যার কারণে চিকিৎসার অভাবে দিনদিন তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে।
সৈকত জানায়, টিউমারের কারণে ডান পাশের চোখ ঢেকে আছে। টিউমার সরিয়ে ওই চোখ দিয়ে সে ঝাপসা দেখে। মাঝেমধ্যে ব্যথায় অস্থির হয়ে পড়তে হয় তাকে। সৈকত তার চিকিৎসায় সরকারের সহযোগিতা কামনা করে।
এ ব্যাপারে চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ মো. আবু জাফর বলেন, টিউমারটি অস্ত্রোপচার করে সরিয়ে ফেলতে হবে এবং এ জন্য অনেক টাকা লাগবে।