জামালপুরে নতুন করে ১০ ইউনিয়ন প্লাবিত, একজনের মৃত্যু
জামালপুরে বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। আজ মঙ্গলবার বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে ওই চিত্র দেখা যায়। ১৯৮৮ সালের বন্যায় ওই পয়েন্টে পানি ছিল বিপৎসীমার ১১২ সেন্টিমিটার ওপর।
জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। নতুন করে বন্যাপ্লাবিত হয়েছে জামালপুর সদর ও বকশীগঞ্জ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা।
এদিকে বন্যার পানিতে ডুবে কোমল (১৬) নামে এক কিশোরের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। কোমল মেলান্দহ উপজেলার বাসিন্দা। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাসেল সাবরিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
মাদারগঞ্জের চাঁদপুর-নাংলা বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের দেড়শ মিটার ভেঙে এই উপজেলার ১৫টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। সব মিলিয়ে জেলার সাতটি উপজেলার ৪০টি ইউনিয়নের প্রায় তিন লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ডুবে গেছে পাঁচ হাজার হেক্টর রোপা আমন।
বন্যার পানিতে রেললাইন ডুবে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ রুটে ট্রেন চলাচল। বন্ধ হয়ে গেছে জেলার ৩০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
বন্যাকবলিত এলাকায় কাজ, বিশুদ্ধ পানি পানি ও গো-খাদ্যের সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে। ভেঙে পড়েছে স্থানীয় যোগাযোগব্যবস্থা।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাসেল সাবরিন জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ৪৮ টন চাল ও নগদ এক লাখ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।