খানাখন্দে ভরা চুয়াডাঙ্গা-কুষ্টিয়া মহাসড়ক
প্রায় ৪৩ কিলোমিটার দীর্ঘ চুয়াডাঙ্গা-কুষ্টিয়া মহাসড়কের ১৭ কিলোমিটারই খানাখন্দে ভরা। তবু ঝুঁকি নিয়েই চালকদের ধীরে ধীরে যানবাহন চালাতে হচ্ছে। কিন্তু সন্ধ্যার পর নিরাপত্তার অভাবে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখতে হচ্ছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা থেকে কুষ্টিয়া পর্যন্ত সড়কপথে মোট দূরত্ব ৪৩ কিলোমিটার। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা অংশে ২৬ কিলোমিটার ভালো থাকলেও কুষ্টিয়া জেলা অংশের সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ি থেকে বটতৈল পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটারে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এই পথ দিয়ে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ি ইউনিয়নের ১৪টি গ্রামের হাজারো মানুষ চলাচল করে থাকে। সড়কটি মিরপুর উপজেলার বিপুল মানুষের একমাত্র অবলম্বন এবং চুয়াডাঙ্গা থেকে রাজশাহী বিভাগের যোগাযোগের অন্যতম উপায়। সড়কের এই ১৭ কিলোমিটারে অসংখ্য খানাখন্দ থাকায় চুয়াডাঙ্গা থেকে বেশির ভাগ মানুষ অতিরিক্ত ৪০ কিলোমিটার পথ ঘুরে ঝিনাইদহ হয়ে কুষ্টিয়ায় যাতায়াত করছে।
যানবাহনের চালকরা জানান, আলমডাঙ্গা থেকে কুষ্টিয়া পর্যন্ত সময় লাগার কথা ৫০ মিনিট। অথচ সেখানে দেড় ঘণ্টা সময় লাগছে।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ি গ্রামের আজিজুল ইসলাম জানান, এই সড়কটি টেকসই থাকার মেয়াদ গত জুন মাস পর্যন্ত ছিল। এর আগেই তা ভেঙেচুরে একাকার হয়ে যায়। স্থানীয় সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ আশ্বস্ত করেছেন শিগগিরই দরপত্র হবে এবং ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে।
একই গ্রামের মাহফুজুর রহমান উজ্জ্বল জানান, ভাঙাচোরা সড়কের কারণে পাটিকাবাড়ি ইউনিয়নের ১৪টি গ্রামের মানুষের হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কেনাকাটার জন্য জেলা সদরে যাওয়া কষ্টকর।
আলমডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মীর মহিউদ্দিন বলেন, ‘আলমডাঙ্গা-কুষ্টিয়া সড়কে শত শত যানবাহন চলাচল করে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালে যাতায়াতের জন্য হাজার হাজার মানুষ সড়কটি ব্যবহার করে। এ জন্য সরকারের তথ্যমন্ত্রী ও যোগাযোগমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবার কাছে এই সড়ক মেরামতের দাবি জানাচ্ছি। ’
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা-কুষ্টিয়া সড়কে ৪৩ কিলোমিটারের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা অংশে ২৬ কিলোমিটার ভালো। তবে কুষ্টিয়া অংশে ১৭ কিলোমিটার রাস্তা খারাপের কারণে মানুষের দুর্ভোগ হয় বলে শুনেছি। শিগগিরই এ সড়ক পিএমপি (প্রায়োরিটি মেইনটেনেন্স প্রজেক্ট) প্রকল্পের আওতায় মেরামত হবে বলে জেনেছি। ’