প্রাণের ‘প্রাণ’ সমাহিত
অসংখ্য মানুষের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে সমাহিত হলেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আমজাদ খান চৌধুরী। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর বনানী সামরিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
দুপুরে বিজয় স্মরণিতে সামরিক জাদুঘরের মাঠে আমজাদ খান চৌধুরীর শেষ জানাজা হয়। সেখানে জানাজা শেষে তাঁর মরদেহ নেওয়া হয় বনানী সামরিক কবরস্থানে। এ সময় তাঁকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এরপর তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে।
আমজাদ খান চৌধুরীর জানাজায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
এর আগে আজ সকালে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রধান নির্বাহীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, পুলিশ প্রশাসনসহ সর্বস্তরের মানুষ আমজাদ হোসেন খানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। জানাজায় প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সব শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন।
গত ৮ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনার ডিউক মেডিকেল হাসপাতালে ৭৬ বছর বয়সে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আমজাদ খান চৌধুরী। দীর্ঘদিন তিনি ডায়াবেটিস ও হৃদরোগে ভুগছিলেন। অসুস্থতার জন্য এক মাস ধরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
আমজাদ খান চৌধুরী স্ত্রী, দুই ছেলে, দুই মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
১৯৩৯ সালের ১০ নভেম্বর নাটোরে জন্মগ্রহণ করেন আমজাদ খান চৌধুরী। ঢাকার নবকুমার ইনস্টিটিউটে শিক্ষাজীবন শুরু করেন তিনি। ১৯৫৬ সালে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। তিনি অস্ট্রেলিয়ান স্টাফ কলেজে পড়াশোনা করেন। কর্মজীবনে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮১ সালে মেজর জেনারেল হিসেবে সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন।
আমজাদ খান চৌধুরী মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই), ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের সভাপতি, পরিচালকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। আবাসন খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব), সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষাকেন্দ্র আন্ডারপ্রিভিলেজড চিলড্রেন্স এডুকেশন প্রোগ্রামের (ইউসেপ) প্রতিষ্ঠাতা তিনি।