ওষুধ কোম্পানির কর্মকর্তাকে তুলে নিয়ে ‘২ লাখ টাকা’ লুট
পটুয়াখালী শহরে একটি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় কর্মকর্তাকে তুলে নিয়ে দুই লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার দুই ঘণ্টা পর পুলিশ উত্তম দাস নামের ওই কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে। তাঁকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উত্তম দাস এমিকো ওষুধ কোম্পানির বরিশাল অঞ্চলের বিক্রয় কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন উত্তম দাসের ভাষ্য, সোমবার সন্ধ্যায় বরিশাল থেকে পটুয়াখালী পৌঁছে তিনি কোম্পানির টাকা আদায়ের জন্য শহরের তিতাস সিনেমার মোড়ে অবস্থান করছিলেন। রাত ৮টার দিকে বাউফলের বগা বন্দরের নির্মল দাসের ছেলে নিপুল দাস কথা বলার ছলে তাঁকে ডেকে রাস্তার পাশে নিয়ে গিয়ে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে পাশেই আগে থেকে অবস্থান করা সন্ত্রাসী সঞ্জিব, মাসুম ওরফে যুবরাজ মাসুম ও জুলহাসসহ সাত থেকে আটজন তাঁর ওপর হামলা করে। এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি, লাথি মারতে মারতে তাঁকে (উত্তম) একটি অটোরিকশায় তোলে সন্ত্রাসীরা। এ সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গেলে তাঁদেরও লাঞ্ছিত করে তারা। পরে সন্ত্রাসীরা অটোরিকশা নিয়ে চলে যায়। পরে সন্ত্রাসীরা তাঁকে মারধর করে তাঁর কাছে থাকা কোম্পানির দুই লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ছাড়া ছয়টি সাদা স্ট্যাম্পে জোর করে তাঁর সই নেয়।
পুলিশের ভাষ্য, এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তম দাসকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করে পুলিশ। প্রায় দুই ঘণ্টা পর রাত ১০টার দিকে শহরের ঈদগাহ মাঠ এলাকা থেকে আহত অবস্থায় উত্তম দাসকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, অপহরণকারীদের ধরতে রাতভর অভিযান চালনো হয়েছে। এখনো অভিযান চলছে।
পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান জানান, শহরে প্রকাশ্যে এমন অপহরণ ও নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।