পিটিয়ে ছাত্রলীগ নেতার হাত ভেঙে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা
শরীয়তপুরের গোসাইরহাট শামসুর রহমান কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়ামিন সিকদারকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় আহত হয়েছেন ছাত্রলীগ দ্বাদশ শ্রেণি শাখার সভাপতি রাকিবুল হাসান।
গতকাল বুধবার বিকেলে শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট থানার দাশেরজঙ্গল বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা এ ঘটনার জন্য পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও পৌর কাউন্সিলর মো. মতিউর রহমান মিন্টুর সমর্থকদের দায়ী করেছেন। তবে আওয়ামী লীগ নেতা এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
আহতরা রাতে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, বুধবার বেলা ১১টার দিকে কাউন্সিলর মতিউর রহমান মিন্টুর সমর্থক রুবেল মুসলমান, রাজু বেপারী, শান্ত বণিকসহ ১০-১২ জন বহিরাগত মোটরসাইকেলে জোরে হর্ন বাজিয়ে কলেজে প্রবেশ করে। এ সময় তাঁরা বাধা দেন। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। পরবর্তী সময়ে উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আজমল হোসেন এসে দুই পক্ষকে নিয়ে বিষয়টি মিটমাট করে দেন।
বিকেলে সাড়ে ৪টার দিকে ইয়ামিন সিকদার ও রাকিবুলকে দাশেরজঙ্গল বাজারের চিটাগাং ফার্নিচার মার্টের সামনে মতিউর রহমান মিন্টু বেপারীর সমর্থক ১০-১২ জন লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
ছাত্রলীগ নেতা ইয়ামিন সিকদারের বাঁ হাতের কব্জির হাড় ভেঙে যাওয়ায় চিকিৎসক তাঁকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করে।
পুলিশের গোসাইরহাট সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) খায়রুল হাসান বলেন, ‘ছাত্রলীগের দুই নেতার ওপর হামলার খবর আমরা পেয়েছি। মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গোসাইরহাট শামসুর রহমান কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু সিকদার বলেন, কলেজে একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হওয়ার পর থেকেই বহিরাগতদের আনাগোনা বেড়ে গেছে। কাউন্সিলর মতিউর রহমান মিন্টুর প্রশ্রয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের পেটানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে পৌর কাউন্সিলর মো. মতিউর রহমান মিন্টু বলেন, ‘কলেজের ভর্তি বাণিজ্য নিয়ে ছাত্রদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে কথাকাটাকাটি হয়েছে বলে শুনেছি। ইয়ামিন সিকদার বা রাকিবুল হাসানের ওপর কারা হামলা করেছে, তা আমার জানা নেই। আমার সঙ্গে এলাকার কারো কোনো বিরোধ নেই।’