শোয়ার ঘরে ২৭টি গোখরা সাপ, মারা হলো একে একে
রাজশাহীতে শোয়ার ঘরে মিলল ২৭টি বিষধর গোখরা সাপ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে নগরীর বুধপাড়া মহল্লার একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আজ বুধবার সকাল থেকে সাপগুলো দেখতে আশপাশের লোকজন ওই বাড়িতে ভিড় করে।
গৃহকর্তা মাজদার আলী একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী। তিনি জানান, সারা দিন কাজ শেষে তিনি গতকাল সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরেন। রাতে খাওয়াদাওয়া শেষে তাঁর স্ত্রী ঘুমিয়ে পড়েন এক ঘরে। আরেক ঘরের বিছানায় বসে সাত বছর বয়সী ছেলে সিয়ামকে সঙ্গে নিয়ে টিভি দেখছিলেন তিনি। এ সময় হঠাৎ দেখেন, ঘরের মধ্যে সাপ। সাপ দেখে ভয় পেয়ে যান তিনি। কী করবেন প্রথমে ভেবে পাচ্ছিলেন না। দেখেন ঘরের কোণে রাখা আছে একটা লাঠি। লাঠি ও টর্চলাইট হাতে নিয়ে মারতে গেলে সাপটি লুকিয়ে যায় ঘরের আলমারির পেছনে। পরে আলমারি সরিয়ে দেখতে পান আরো তিনটি সাপ। এরপর তিনি তাঁর ভাই সাইদার আলী ও হায়দার আলীকে ডেকে আনেন। তাঁরা এলে সাপ তিনটি মারা হয়।
কিন্তু একি! একে একে বেরিয়ে আসতে থাকল আরো সাপ! ঘরের মাটি ও দেয়াল খুঁড়ে শুরু হলো সাপ নিধনের অভিযান। এতে যোগ দিলেন গ্রামবাসীও। তাঁদে হাতে একে একে মারা পড়ল ২৭টি বিষাক্ত গোখরা সাপ। তবে এগুলোর সবই বাচ্চা। দৈর্ঘ্য গড়ে আড়াই ফুট।
মাজদার আলী যে বাড়িতে বাস করেন, সেটি মাটির তৈরি। বেশ পুরোনো হওয়ায় সাপ বাসা বেঁধেছে বলে ধারণা তাঁর। তিনি বলেন, গরমে হয়তো সাপগুলো বেরিয়ে এসেছে।
বাড়িতে আরো সাপ আছে। এখন আতঙ্কে রয়েছে তাঁর পরিবার।
মাজদার আলী বলেন, সাপের দখলে চলে গেছে পৈতৃক বাড়িটি। এ কারণে বাড়ির সবাই আতঙ্কিত। আতঙ্কে তাঁর বউ ও সাত বছর বয়সী ছেলে আর বাড়িতে থাকতে চাচ্ছে না।
ভয়ে ওই ঘরেও আর কেউ ঢুকছে না। বাড়িতে আরো সাপ আছে। বিশেষ করে সাপের বাচ্চাগুলোর বাপ-মা তো রয়েছেই। এখন অভিজ্ঞ সাপুড়ের খোঁজ করে বেড়াচ্ছেন তিনি।
মাজদারের ভাই সাইদার আলী জানান, মাজদারের ওই ঘরে অসংখ্য ইঁদুরের গর্ত। এসব গর্তেই বাসা বেঁধেছিল সাপ। মঙ্গলবার রাত ১১টা থেকে বুধবার ভোর ৪টা পর্যন্ত ঘরের মধ্যে বিভিন্ন গর্ত শাবল দিয়ে খুঁড়ে খুঁড়ে সাপগুলো মারা হয়েছে।