ঝগড়ার পর গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় সুলতানা বেগম (২৫) নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ফতেজঙ্গপুর ইউনিয়নের শিরঙ্গল গ্রামের স্বামীর বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ সুলতানার স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছে। আজ শুক্রবার সকালে সুলতানার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
নড়িয়া থানার পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত সুলতানা নড়িয়া উপজেলার মোক্তারেরচর ইউনিয়নের নয়ন মাদবরের কান্দি গ্রামের তোতা মিয়া সরদারের মেয়ে। প্রায় দেড় বছর আগে একই গ্রামের এক্কাবর ছৈয়ালের ছেলে মিলন ছৈয়ালের সঙ্গে সুলতানার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাঁরা একই উপজেলার শিরঙ্গল গ্রামের একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন। তাঁদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। গতকাল সন্ধ্যার পর দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে চিৎকার ও শব্দ শুনে সেখানে ছুটে যান পাশের এলাকার লোকজন। স্থানীয়রা সুলতানাকে গলায় ওড়না পেঁচানো মৃত অবস্থায় ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন।
পরে পুলিশকে খবর দিলে রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে এবং নিহতের স্বামী মিলন ছৈয়াল (৩০), শ্বশুর এক্কাবর ছৈয়াল (৫৫) ও শাশুড়ি ছালমা বেগমকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই এমদাদ সরদার বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরাম আলী মিয়া বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।