ফরিদপুরে বিএনপি নেতা জুয়েল কারাগারে
ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েলকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। জুয়েল আজ রোববার সকালে সরকারি কাজে বাধাদানের একটি মামলায় হাজিরা দিয়ে জামিনের আবেদন করলে ফরিদপুরের ১ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক মো. হামিদুল ইসলাম জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একটি মামলায় অভিযোগপত্র প্রদানের প্রতিবাদে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের বাকবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় পুলিশের লাঠিপেটায় জুলফিকার হোসেন জুয়েল আহত হন। এই ঘটনায় পুলিশ কোতোয়ালি থানায় সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগে একটি মামলা করে। জুয়েল আজ সকালে এই মামলায় হাজিরা দিয়ে জামিনের আবেদন করলে ফরিদপুরের ১ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক মো. হামিদুল ইসলাম জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পুলিশ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জুয়েলকে ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিচে অবস্থিত কোর্ট হাজতে নিয়ে যায়। সেখান থেকে বেলা সোয়া ১২টার দিকে জুয়েলকে ফরিদপুর জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।
জুয়েলের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি গোলজার হোসেন মৃধা, হাবিবুর রহমান হাবিব শেখ, জসীম উদ্দীন মৃধা, খসরুজ্জামান, আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, শফিকুর রহমান ও হাবিবুর রহমান হাফিজ। জুয়েলের বিপক্ষে আদালতে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। আদালতের জিআরও আবুল কালাম আজাদ জামিনের বিরোধিতা করে তাঁর বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
এদিকে জুয়েলের জামিন নামঞ্জুর হওয়ার খবরে জেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, তাঁতী দলসহ বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা আদালত চত্বরে ভিড় জমাতে থাকেন। জুয়েলকে জেলহাজতে পাঠানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাহ্ মোহাম্মদ আবু জাফর, এম এম শাহরিয়ার রুমি, শামা ওবায়েদ, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ও বিশিষ্ট শিল্পপতি মনিরুজ্জামান মনির, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম কিবরিয়া স্বপন, বিশিষ্ট নারীনেত্রী বিলকিস ইসলাম। নেতারা অবিলম্বে জুয়েলের মুক্তি দাবি করেছেন।