যৌন হয়রানির অভিযোগ, প্রধান শিক্ষকের সংবাদ সম্মেলন
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠার পর সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক রণধীর দাস।
অভিযোগ উঠেছে, গত ১৬ মে রণধীর দাস তাঁর এক সহকর্মীকে নিজের কক্ষে ডেকে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ ঘটনার পর ওই দিন সন্ধ্যায় ওই শিক্ষিকার স্বামী দলবল নিয়ে রণধীরকে মারধর করেন। পরে এ ঘটনায় তিনি থানায় একটি মামলা করেন।
আজ সংবাদ সম্মেলনে রণধীর দাস বলেন, ‘আমার স্কুলের ওই সহকারী শিক্ষিকা স্থানীয় বাসিন্দা হওয়ায় নিয়মিত দেরি করে স্কুলে আসতেন। এ বিষয়ে তাঁকে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়। এ কারণে ওই শিক্ষিকা ও তাঁর স্বামী প্রতিনিয়ত আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিতেন।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘ওই শিক্ষিকা দেরিতে স্কুলে আসার বিষয়টি আমি জেলা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে মৌখিকভাবে জানিয়েছিলাম।’
লিখিত বক্তব্যে রণধীর দাস বলেন, ‘হামলার দিন আমি স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির বিষয় নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলাম। পরে বাড়িতে ফেরার পথে আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়।’
তবে মামলার এজাহারে রণধীর দাস উল্লেখ করেন, ব্যক্তিগত কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে তিনি হামলার শিকার হন।
প্রধান শিক্ষকের দায়ের করা মামলার এজাহার, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে দেওয়া অভিযোগ ও সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া লিখিত বক্তব্যে ভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়। ভিন্ন তথ্যের বিষয়ে শিক্ষক রণধীরকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়টির ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি রুশন মিয়া, রুহেনা খানম, রাফিয়া বেগম, মইন উদ্দিন আহম্মদ ও অনুপ কুমার দেব রায়।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল আলিম বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক রণধীর দাস সংবাদ সম্মেলনের জন্য আমার কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেননি। উভয়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের তদন্তকাজ চলছে।’