নায়েককে হত্যার অভিযোগে আনসার সদস্য আটক
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় আনসার কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সৈনিক রফিকুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল ৪টার দিকে রাঙামাটির লংগদু উপজেলার মনের মানুষ এলাকা থেকে তাঁকে আটক করে সেনাবাহিনী।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন টিটু জানান, আটক রফিকুলকে দীঘিনালায় আনার প্রক্রিয়া চলছে। এর আগে রফিকুলের ফেলে যাওয়া অস্ত্র ও গুলি জব্দ করা হয়।
এর আগে আজ শনিবার দুপুর দেড়টায় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। পুলিশ সুপার মো. মজিদ আলী জানান, রফিকুল ইসলামকে ধরতে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও আনসার সদস্যরা পুরো এলাকা ঘেরাও করে অভিযান চালাচ্ছেন। জেলার বিভিন্ন স্থানে ব্লক দিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
দ্রুতই রফিকুলকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে পুলিশ সুপার জানান, সীমান্ত পাড়ি দিয়ে রফিকুলের ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, অব্যাহত অভিযানের মুখে টিকতে না পেরে ঘটনাস্থল থেকে ২০ মিটার দক্ষিণে জঙ্গলে অস্ত্র ও গুলি রেখে আরো গভীর জঙ্গলে পালিয়ে গেছেন অভিযুক্ত রফিকুল। তাঁর নিয়ে যাওয়া থ্রি নট থ্রি রাইফেল ও ৮০টি গুলি উদ্ধার করেছে যৌথবাহিনী। তাঁকে নিরস্ত্র করায় পুনরায় হামলা বা জানমালের ক্ষতির সম্ভাবনা নেই বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
পুলিশ সুপার আরো জানান, এ ব্যাপারে একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। অস্ত্র আইনে পৃথক মামলা হবে।
গতকাল শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে দীঘিনালার কবাখালী এলাকার চৌধুরীটিলা আনসার ক্যাম্পে দুই সহকর্মীর মাঝে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে আনসার সদস্য রফিকুল ইসলাম নায়েক আমির হোসেনকে গুলি করলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। নিহত আমির হোসেন জেলার পানছড়ি উপজেলার মৃত রজব আলীর ছেলে। অন্যদিকে রফিকুল ইসলাম জেলার মাটিরাঙা উপজেলার বলিটিলা গ্রামের বাসিন্দা।