চিত্রনায়িকা মাহির মামলা থেকে শাওনকে অব্যাহতি
চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির করা মামলায় তাঁর স্বামী দাবিকারী শাওনকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাইফুল ইসলাম এই আদেশ দেন।
এ মামলায় শাওন আজ আদালতে হাজির হন। তাঁর পক্ষে আইনজীবী বেলাল হোসেন অব্যাহতির আবেদন করেন। বিচারক তা মঞ্জুর করেন।
আদালতের সরকারপক্ষের কৌঁসুলি নজরুল ইসলাম শামীম সাংবাদিকদের বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি জানান, এই মামলার কার্যক্রমে অংশ নিতে চিত্রনায়িকা মাহি আজ আদালতে হাজির হননি।
গত ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সোহরাব মিয়া মাহির মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
২০১৬ সালের ২৮ মে উত্তরা পশ্চিম থানায় নায়িকা মাহি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলা করেন। মামলার পর এসআই সোহরাবকে তদন্তের ভার দেওয়া হয়।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, মাহির স্বামী দাবিদার শাওনকে গত বছরের ৫ জুন বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম শামসুল আলম জামিন দেন।
আদালতে দুজনের পক্ষ থেকে আপস-মীমাংসার কথা বলা হলে জামিন দেওয়া হয়।
গত বছরের ৫ জুন মাহির বাবা ও শাওনের বাবার মধ্যে একটি আপসনামা হয়। ওই দিন বিকেল ৩টার দিকে মাহির উত্তরার বাসায় উভয় পরিবারের লোকজনের উপস্থিতিতে ৩০০ টাকার দলিলে এই আপসনামা স্বাক্ষরিত হয়। আপসনামায় স্বাক্ষর করেন মাহির বাবা আবু বকর ও শাওনের বাবা নজরুল ইসলাম। সাক্ষী ছিলেন শাওনের বড় চাচা আবুল হাশেম ও ছোট চাচা মাহমুদুল হাসান।
আপসনামাটি মো. ইকবাল হোসেনকে দিয়ে নোটারি পাবলিক করা হয়েছে। তাঁর চেম্বার দেখানো হয়েছে- হলরুম-১, সুপ্রিম কোর্ট, বাংলাদেশ। নোটারি সিরিয়াল-৩৩ এবং তারিখ ৫-৬-২০১৬।
এর আগে ২০১৬ সালের ২৮ মে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাইবার ক্রাইম শাখায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন নায়িকা মাহি।
অভিযোগটি তিনি করেন স্বামী দাবিদার শাওনের বিরুদ্ধে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতেই শাওনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তারের সময় ডিবি শাওনের দক্ষিণ বাড্ডার বাসা থেকে কম্পিউটার জব্দ করে।
নায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুর বিয়ের পরের দিন থেকেই কয়েকটি গণমাধ্যমে মাহির ‘একাধিক বিয়ে-সংক্রান্ত’ কিছু ছবি প্রকাশ হতে থাকে।
সেখানে ছবি প্রকাশের পাশাপাশি দাবি করা হয়, এর আগেও একাধিকবার মাহির বিয়ে হয়েছে। ছবি প্রকাশের পর থেকে আলোচনার ঝড় ওঠে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে। বিষয়টি নজরে এলে নায়িকা মাহি বলেন, তিনি আইনের আশ্রয় নেবেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার সংসার ভাঙার জন্য কেউ আমার পিছু লেগেছে।’
গ্রেপ্তার হওয়া শাওনের বাবা নজরুল ইসলাম গুলশানের একজন ব্যবসায়ী। তিনি জানান, শাওন স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
তিনি দাবি করেন, নায়িকা মাহি তাঁর ভালো বন্ধু ছিলেন। ফেসবুকে মাহির সঙ্গে অনেক ছবিও পোস্ট করেন শাওন।