খাগড়াছড়ি-রাঙামাটিতে হরতাল; ভাংচুর, আহত ৩
পার্বত্য-বাঙালি ছাত্র পরিষদসহ (পিবিসিপি) সমমনা সংগঠনগুলোর ডাকে দুই পার্বত্য জেলা রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে চলছে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল। খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলায় ভাড়ায় মোটরসাইকেলচালক সাদিকুল ইসলামের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও পরিবারকে ক্ষতিপূরণের দাবিতে আজ বুধবার সকাল থেকে এ হরতাল পালিত হচ্ছে।
হরতালের সমর্থনে খাগড়াছড়ি জেলায় পিবিসিপি নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্থানে পিকেটিং করছে। সকালে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে সংগঠনটি। সাড়ে ৭টার দিকে মিছিলটি শাপলা চত্বর থেকে আদালত সড়কের দিকে যাওয়ার সময় মাস্টারপাড়া মোড়ে থাকা একটি পাথরবোঝাই ট্রাকের কাচ ভাংচুর করে।
এ সময় পুলিশ ধাওয়া করে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশের হামলায় পিবিসিপির জেলা সভাপতি ও খাগড়াছড়ি শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাঈন উদ্দিনসহ তিন নেতাকর্মী আহত হন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হরতাল চলাকালে জেলা শহরের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। শহরের বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে, হরতালের সমর্থনে আজ সকাল থেকেই রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন স্থানে পিকেটিং করছে পিবিসিপির নেতাকর্মীরা। পাশাপাশি পিকেটিং করতে দেখা গেছে বাঙালি সংগঠনের নেতাকর্মীদের।
হরতালের কারণে রাঙামাটি শহরের অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ আছে। শহর থেকে উপজেলা বা আশপাশের জেলাগুলোর উদ্দেশে কোনো বাস বা লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। রাঙামাটি জেলা শহর ছাড়াও লংগদু, বাঘাইছড়ি, কাউখালী উপজেলা থেকেও শান্তিপূর্ণ হরতাল পালিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
গত ১০ এপ্রিল মহালছড়ি উপজেলা থেকে মোটরসাইকেলচালক সাদিকুল ইসলামকে রাঙামাটির ঘিলাছড়ি নিয়ে যান দুই পাহাড়ি যুবক। তখন থেকে নিখোঁজ ছিলেন সাদিকুল। নিখোঁজের চার দিন পর ১৩ এপ্রিল বিকেলে রাঙামাটির ঘিলাছড়ি এলাকা থেকে মাটিচাপা অবস্থায় সাদিকুলের লাশ পাওয়া যায়। এর পর থেকে বাঙালি ছাত্র পরিষদসহ সমমনা দলগুলো বিক্ষোভ মিছিলসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছিল। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১৬ এপ্রিল পল্টু চাকমা নামের একজনকে আটক করে পুলিশ।