মুক্তিযোদ্ধা, এতিম ও আলেমদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ইফতার
পবিত্র রমজানের দ্বিতীয় দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, এতিম, শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশু এবং আলেম-ওলামাদের জন্য ইফতারের আয়োজন করেন। প্রতিবছরের মতো আজ শনিবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনের বাংকোয়েট হলে এ ইফতার অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী ইফতার অনুষ্ঠানে বিভিন্ন টেবিলে যান। এ সময় তিনি অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং তাঁদের কুশলাদি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন। ইফতারের আগে জাতির অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মাওলানা মিজানুর রহমান মোনাজাত পরিচালনা করেন।
মোনাজাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ফজিলাতুন্নেসা মুজিব এবং ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার, জাতীয় চার নেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বীর শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর আলহাজ মিসবাহুর রহমান চৌধুরী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর শেখ খন্দকার গোলাম মাওলা নক্শাবন্দী, মুশুরীখোলা দরবার শরিফের পীরসাহেব আলহাজ শাহ মোহাম্মদ আহসানুজ্জামান, মাওলানা আব্দুল আলীম রিজভী, মুফতি মাওলানা জহিরুল ইসলাম মিয়া, মাওলানা বদিউল আলম সরকার, মাওলানা রুহুল আমিন খান উজানবি, হাফেজ মাওলানা আবদুর রাজ্জাক, ড. মাওলানা আবদুল্লাহ আল মারুফ, মাওলানা সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান, মাওলানা মনিরুজ্জামান রব্বানী, ড. মাওলানা সৈয়দ ইমদাদউদ্দিন, আলহাজ মোহাম্মদ ইসমাইল মিয়া, ড. মাওলানা মোরশেদ আলম সালেহী, মুফতি আবুল হাসান শামসাবাদী, মাওলানা এ এম এম সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা জালাল আহমেদ, মাওলানা আবু সুফিয়ান জাকি, মাওলানা নাইমুল ইসলাম বরকতী ও মাওলানা আবদুল আলিম আজাদী অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলী, মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ ও প্রেস সেক্রেটারি ইহসানুল করিম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।