বেতনে ‘পদাবনতি’, ক্ষুব্ধ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা
অষ্টম জাতীয় পে-কমিশনের সুপারিশে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মর্যাদা দুই ধাপ নামিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষকরা। মর্যাদা পুনর্বহাল ও স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো গঠনের দাবি জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রীর হাতে স্মারকলিপি তুলে দিয়েছেন।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ড. মো. ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন অষ্টম জাতীয় বেতন ও চাকরি কমিশনের সুপারিশের ওপর সচিব কমিটি তাদের সুপারিশ পেশ করেছে। উভয় সুপারিশেই সপ্তম জাতীয় বেতন কাঠামোতে শিক্ষকদের যে অবস্থান ছিল তা থেকে নতুন বেতন কাঠামোতে ন্যূনতম দুই ধাপ নামিয়ে আনা হয়েছে এবং এ দুটি সুপারিশ এখন অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
স্মারকলিপিতে আরো উল্লেখ করা হয়, প্রস্তাবিত বেতন কাঠামোতে প্রতিটি ধাপেই প্রায় দ্বিগুণ বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষদের ব্যাপারে বেতন কমিশন বৈষম্যমূলক সুপারিশ করেছে।
অর্থমন্ত্রীর হাতে স্মারকলিপিটি তুলে দিয়ে ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি সারা দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবস্থান আগের তুলনায় দুই ধাপ নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। মর্যাদার প্রশ্নে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক এক ও ঐক্যবদ্ধ। কোনো শিক্ষকই এটা মেনে নেবেন না। প্রয়োজনে আমরা আমরণ অনশনসহ যেকোনো বৃহৎ কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।’
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের এ দাবি সক্রিয়ভাবে বিবেচনার আশ্বাস দিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘প্রতি পাঁচ বছর পরই বেতন কমিশনের সুপারিশ নিয়ে একটি যন্ত্রণায় পড়তে হয়। এ জন্য আমরা এ কমিশন আর গঠন না করে স্থায়ী কিছু একটা করার চিন্তা করছি।’ তিনি বলেন, ‘আপনাদের দাবির যৌক্তিকতা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করা হবে।’