আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ : স্পিকার
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সমাজ ও রাষ্ট্রে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও সবার জন্য সমান অধিকারের নিশ্চয়তা দেওয়াই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ব্রিটিশ কাউন্সিল মিলনায়তনে বাংলাদেশের কমিউনিটি লিগ্যাল সার্ভিসেস (সিএলএস) কর্মসূচি আয়োজিত ‘সেলিব্রেটিং চ্যালেঞ্জ অ্যান্ড চেইঞ্জ : কমিউনিটি লিগ্যাল সার্ভিসেস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্পিকার এ কথা বলেন।
ড. শিরীন শারমিন বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে সব নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনে সমান আশ্রয় লাভের অধিকারের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে এবং বিভিন্ন বিষয়ে অনেক আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশে নারী ও শিশুদের ওপর জোর দিয়ে দারিদ্র্য, প্রান্তিক ও সামাজিকভাবে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে কমিউনিটি আইনি সেবা প্রদানের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে সরকারি-বেসরকারি এবং উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ফলপ্রসূ অংশীদারিত্বমূলক কর্মসূচি প্রণয়ন করতে হবে। পাশাপাশি তাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে সিএলএস কর্মসূচি সফল করতে হবে।
স্পিকার আরো বলেন, নারী ও শিশুরা সমাজে আইনি সেবা থেকে বঞ্চিত হয় সবচেয়ে বেশি। সে কারণে তাদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে কর্মসূচি প্রণয়ন করতে হবে, যাতে তারা তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে পারে। সুবিধাবঞ্চিত শ্রেণি যাতে আইনে প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হয়, সে জন্য অভিজ্ঞতার আলোকে তাদের ভেতর থেকে না জানার যে শূন্যতা তা দূরীকরণে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
কোর্টে মামলা পরিচালনা করা একটি ব্যয়বহুল ও দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ সরকারও আইনি সেবা শক্তিশালী করতে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কাছে মানসম্মত আইনি সেবা পৌঁছে দিতে সিএলএস সহযোগী সংগঠনগুলোর দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর চাহিদার আলোকে তাদের অধিকারগুলোকে সামনে তুলে ধরে সেবা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন, ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের পরিচালক বারবারা উইকহ্যাম এবং সিএলএস কর্মসূচির ক্যাপাসিটি বিল্ডিং কমপোনেন্ট লিড ক্রিস্টিন ফরেস্টার বক্তৃতা করেন।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার ডেভিড অ্যাশলি ও ডিএফআইডি বাংলাদেশের গভর্নেন্স টিম লিডার জোয়েল হার্ডিং উপস্থিত ছিলেন।