‘ভোক্তার অভিযোগের সংখ্যা শূন্যে নেমে আসুক’
‘জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগকারীদের সংখ্যা বাড়ছে। যুবকরাই বেশি অভিযোগ নিয়ে অধিদপ্তরে আসেন। এক মাসের মধ্যেই শুনানির মাধ্যমে অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়। আমাদের উদ্দেশ্য অভিযোগের সংখ্যা শূন্যে নেমে আসুক।’
ভোক্তা অধিকার নিয়ে এনটিভি অনলাইনকে এসব কথা বলেন, অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম লস্কর। আজ ১৫ মার্চ বিশ্ব ভোক্তা দিবস।
মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আগের চেয়ে অভিযোগের পরিমাণ অনেক বেশি বেড়েছে। গত ২০১৫ সালে ভোক্তাদের অভিযোগের পরিমাণ ছিল ২২৫টি। ২০১৬ সালে এক হাজার ৬২২টি। আর চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই দুই মাসে অভিযোগের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬৮২টিতে।’
শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত বছর ডিসেম্বর থেকে অভিযোগের সংখ্যা বাড়তে থাকে। এখন আমরা ব্যবসায়ী এবং ভোক্তাদের সচেতনতার কাজ করে যাচ্ছি। ভোক্তা অধিদপ্তরের লক্ষ্য হচ্ছে অভিযোগ শূন্যের পর্যায় নিয়ে আসা। যাতে করে আমরা কোথাও অভিযান পরিচালনা করে কোনো ধরনের অভিযোগ না পাই।’
শফিকুল ইসলাম লস্কর আরো বলেন, ‘আমরা যথাযথভাবে বিশ্ব ভোক্তা দিবস পালন করে আসছি। এ দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে প্রতি জেলা ও বিভাগে আলোচনা সভা। জেলা বিভাগ এবং জাতীয় পর্যায়ে রচনা প্রতিযোগিতা।’
ভোক্তা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ২০১০ সালের ৬ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে ২০১১ সাল থেকে বিশ্ব ভোক্তা দিবস পালন করে আসছে।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত ৫ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে ২৪ হাজার ৬৫২টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭ কোটি ৭৯ লাখ ২৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। নিয়ম অনুযায়ী ২৫ শতাংশ হারে জরিমানাকৃত অর্থের চার কোটি ৪১ লাখ ২৮ হাজার টাকা অভিযোগকারীদের দেওয়া হয়। আর অর্থের অন্য অংশ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের যুগ্ম সচিব ড. মো. শাহাদাৎ হোসেইন বলেন, ‘আমরা এক মাসের মধ্যেই শুনানির মাধ্যমে অভিযোগ নিষ্পত্তি করে থাকি। কোনো অভিযোগে যদি রাসায়নিক, পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং আলামতের সম্পৃক্ততা থাকে সে ক্ষেত্রে সময় বেশি নেওয়া হয়। তবে এ অভিযোগের সংখ্যা খুবই কম।’
মো. শাহাদাৎ হোসেইন বলেন, ‘দেশের ৯৫ শতাংশ লোকেই জানেন না ভোক্তা অধিকার নামে একটা আইন আছে।’ তিনি জানান, দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে অতি সহজে যে কেউ অভিযোগ করতে পারেন। এ জন্য কোনো ধরনের টাকা বা চার্জ প্রদান করতে হয় না। বরং অভিযোগকারীর অভিযোগের ভিত্তিতে যদি কোনো প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয় সে ক্ষেত্রে অভিযোগকারীকে ২৫ শতাংশ হারে টাকা দেওয়া হয়।