বিএনপির একাংশের বিরুদ্ধে আরেক অংশের মামলা
জয়পুরহাট জেলা বিএনপির কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এক অংশের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে আরেকটি অংশ।
গত শুক্রবার রাতে জয়পুরহাট থানায় এ মামলা করা হয়।
মামলায় জেলা বিএনপির নতুন কমিটির সহসভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া নতুন কমিটির সদস্য ফয়সল আলিমকে ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে। সর্বমোট ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০ থেকে ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন জয়পুরহাট জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মনজুরে মওলা পলাশ।
মামলায় নাম উল্লেখ থাকা অন্য আসামিরা হলেন—জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টু, জয়পুরহাট সদর উপজেলার বেলআমলা এলাকার আলম (৩৬), জয়পুরহাট শহরের সরদারপাড়া এলাকার শফিকুল ইসলাম (৩৯), জানিয়ার বাগান (প্রফেসরপাড়া) এলাকার বাবু পাটোয়ারী (২৮), জেলার পাঁচবিবি উপজেলার মাতাশ মঞ্জিল এলাকার সাঈদ আলী (৬০), জয়পুরহাট সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর গ্রামের বেলায়েত হোসেন বেনু (২৮), জয়পুরহাট পৌর এলাকার রূপনগর এলাকার পাপান (২৭), কালাই উপজেলার ভেরেন্ডি গ্রামের শামীম (২৮), জয়পুরহাট শহরের শান্তিনগর এলাকার জেহাদ (২৮) ও ইসতিয়াক আহমেদ আজাদ (২৭), জয়পুরহাট পৌর এলাকার মুসলিম নগরের মাসুদ (২৭), তাজুর মোড় এলাকার আলিফ (২৭), মাদ্রাসাপাড়া এলাকার রিপন (২৭), পাঁচবিবি উপজেলার মাতাশ মঞ্জিল এলাকার সাঈদ আলী (৬০) ও আক্কেলপুর উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের মাহবুব (৫০)।
গত বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে কেন্দ্রঘোষিত জয়পুরহাট জেলা বিএনপির নতুন কমিটিতে আইনজীবী নাফিজুর রহমান পলাশকে সাধারণ সম্পাদক করার প্রতিবাদ করেন একাংশের নেতাকর্মীরা। এ ছাড়া ঘোষিত কমিটি বাতিলের দাবিতে দলের একাংশের কিছু নেতাকর্মী নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক পলাশের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন। এ সময় তাঁরা বিক্ষোভ মিছিল করে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে গিয়ে তাঁর কুশপুত্তলিকা দাহ করেন। পরে তালাবদ্ধ বিএনপির কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
এ বিষয়ে জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন জানান, মামলার কোনো আসামি এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়নি।