মাগুরায় আ. লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার পাল্লা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষের নয়টি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তারিকুল ইসলাম জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীঘা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম হিরু এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।
এর জের ধরে গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিরাজুল ইসলামের সমর্থক হিরু মোল্লা ও মোস্তাফিজুর রহমানের সমর্থক রাতুলের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাঁদের দুজনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার জেরে আজ বৃহস্পতিবার উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় দুই পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়। সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষের নয়টি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শুকুর, হাফিজার, ঝন্টু, জয়দার, ইদ্রিসকে আটক করেছে।
আহতদের মধ্যে সুমন (১৮), কামরুল (৫০), কুদ্দুস (৩৫), মাকসুদুজ্জামান (১৬), আবির হোসেন (৪০), আনোয়ার (৫৫), মোস্তাফিজ (৫৫), জাহাঙ্গীর (৪৫), দেলোয়ার (৩৫), মিল্টন (৩০), মুক্তা (২৫), হেনা (৪৫) ও হিরু মিয়াকে (৩৫) মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া হাসান (২৫), রনি (২৫), হাসান শরিফ (২২), রাসেল (৩০), খায়েরসহ (২৫) বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সংঘর্ষের সময় ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আকমলের চারটি, ইসলামের একটি, মোস্তাফিজের একটি, মাহফুজুর রহমানের একটি, জাহাঙ্গীরের একটি ও চঞ্চলের একটিসহ মোট নয়টি বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
ওসি আরো জানান, পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে একপক্ষ আরেক পক্ষকে দোষারোপ করেছে।