এমপি লিটন হত্যা মামলায় রানার জবানবন্দি
গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য (এমপি) মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আনোয়ারুল ইসলাম রানা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আদালতে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে রানাকে জবানবন্দি দেওয়ার জন্য গাইবান্ধা বিচারিক হাকিম আদালতে তোলা হয়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত আদালতের বিচারক মো. জয়নাল আবেদীন তাঁর (রানা) জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর রানাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে, আনোয়ারুল ইসলাম রানাকে বুধবার রাতে ঢাকার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার সকালে গাইবান্ধা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আনা হয়। দুপুরে জেলা পুলিশের আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনে রানাকে গ্রেপ্তার এবং আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার জন্য পাঠানো হবে বলে জানান পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলাম।
আনোয়ারুল ইসলাম রানার বাড়ি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের ভেলারা (কাজীর ভিটা) গ্রামে।
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে শাহবাজ (মাস্টারপাড়া) এলাকায় নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। এ ঘটনায় লিটনের বোন তাহমিদা বুলবুল বাদী হয়ে অজ্ঞাত চার-পাঁচজনকে আসামি করে ১ জানুয়ারি সুন্দরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।
ওই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারের পর আবদুল হান্নান, মেহেদী হাসান ও শাহীন মিয়া নামের তিনজন গত মঙ্গলবার রাতে গাইবান্ধার বিচারিক হাকিম আদালতে ১৬৪ ধারায় এমপি লিটনকে হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
গত মঙ্গলবার বিকেলে বগুড়ার বাসা থেকে আবদুল কাদের খানকে গ্রেপ্তার করে গাইবান্ধার পুলিশ। পরদিন তাঁকে আদালতের মাধ্যমে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
এ নিয়ে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশের রংপুর রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) খন্দকার গোলাম ফারুক। ডিআইজি দাবি করেন, ক্ষমতার উচ্চাভিলাষী লোভ এবং আবার সংসদ সদস্য (এমপি) হওয়ার জন্য এমপি লিটনকে হত্যা করা হয়। এক বছর ধরে হত্যার পরিকল্পনা করেন সাবেক এমপি আবদুল কাদের খান। তাঁর অর্থায়নে এমপি লিটনকে হত্যা করা হয়। এমনকি খুনিদের নানা ধরনের আর্থিক সহযোগিতা করে তাদের অস্ত্রের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন কাদের খান।
একই সংবাদ সম্মেলনে ডিআইজি জানিয়েছিলেন, এমপি লিটন হত্যাকাণ্ডে মেহেদী হাসান, শাহীন, হান্নান ও রানা অংশ নেন। তিনজন মূল হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন। যেকোনো মুহূর্তে রানাকে গ্রেপ্তার করা হবে।