গরুর মাংসের ধর্মঘটের প্রভাব মুরগির বাজারে
রাজধানীতে গরু ও খাসির মাংস ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটের প্রভাব পড়েছে বয়লার মুরগিতে। পাঁচদিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি বয়লার মুরগিতে দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।
আজ শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি কাঁচাবাজারে ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
রাজধানীর সেগুনবাগিচা বাজারের মুরগি বিক্রেতা বজলু বলেন, ‘তিন-চারদিন ধরে বয়লার মুরগির বাজার একটু বেশি। আগে প্রতি কেজি মুরগি বিক্রি করতাম ১৫০ টাকায়। আর এখন ১৬৫ টাকা দরে বিক্রি করছি।’
মাংস ব্যবসায়ীরা তাঁদের ব্যবসা বন্ধ করে আন্দোলন করছে, এ কারণে মুরগির চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান বজলু।
সেগুনবাগিচা বাজারের কথা হয় বেসরকারি চাকরিজীবী সালাউদ্দিনের সঙ্গে। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই যদি এভাবে পণ্যের দাম বাড়ে, তাহলে আমরা সাধারণ মানুষ কোথায় যাব?
সালাউদ্দিন জানান, হঠাৎ করেই বাজারের বয়লার মুরগি কেজিতে ১৫ টাকা বাড়বে এটা মেনে নেওয়া যায় না।
শান্তিনগর বাজারের ব্যবসায়ী জসিম বলেন, ‘আমাদের দেশে সবকিছুই সম্ভব। অনেক ধর্মঘট শুনেছি, এবার শুনলাম মাংস ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটের কথা। ব্যবসায়ীরা ধর্মঘট ডাকবে কেন, তাদের দাবি আদায়ে আরো অনেক পথ ছিল। তাঁরা ধর্মঘট ডাকল আর এর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি আমরা সাধারণ মানুষ।’
বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতি যৌথভাবে গত সোমবার থেকে ছয় দফা দাবিতে ধর্মঘটের ডেক দেয়। আগামীকাল শনিবার তা শেষ হবে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, এ সুযোগকে কাজে লাগিয়েছেন বয়লার মুরগি বিক্রেতারা।
অন্যদিকে সবজির দামে তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। প্রতি পিস বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা এবং ফুলকপি ২০ থেকে ২৫ টাকায়।
এ ছাড়া প্রকারভেদে করলা প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বরবটি ৬০ থেকে ৭০, টমেটো ৩০ থেকে ৪০, চিচিঙ্গা ৪০ থেকে ৫০, শিম ৩০ থেকে ৪০ ও গাজর ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।
শান্তিনগর বাজারের সবজি বিক্রেতা মোসলেম জানান, পেঁপে ২৫ টাকা, কচুর লতি ৫০, কচুরমুখী ৪৫, পটোল ৩৫, গাজর ৩০, শসা ৩০ ও কাঁচামরিচ ৪০ টাকা এবং লাউ প্রতি পিস ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে সবজির বাজারে দামের তেমন একটা পরিবর্তন হয়নি বলেও জানান মোসলেম।