কুটি মনসুর আর নেই

Looks like you've blocked notifications!

গায়ক, গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক কুটি মনসুর আর নেই। আজ মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এই গুণীশিল্পী। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বাংলাদেশের গানের জগতের গুণী এই শিল্পী কুটি মনসুরের বড় ছেলে খান মোহাম্মদ মজনু জানান, গত ২২ ডিসেম্বর ঢাকার রামপুরার বাসায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এরপর তাঁকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে ২৯ ডিসেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় তাঁকে। অবশেষে এখানেই আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কুটি মনসুর।

লোকগানের জগতে অন্যতম পুরোধা কুটি মনসুর ১৯২৬ সালে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন থানার লোহারটেক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

সত্তর ও আশির দশকে বাংলাদেশের আধুনিক বাংলা গানের পরিচিত একটি নাম কুটি মনসুর। কুটি মনসুর দীর্ঘ ৬০ বছরের সংগীতজীবনে পল্লীগীতি, আধুনিক, জারি সারি, পালাগান, পুঁথিপাঠ, ভাটিয়ালি, মুর্শিদি, মারফতি, আধ্যাত্মিক, দেহতত্ত্ব, হামদ-নাত, ইসলামি প্রভৃতি বিষয়ে প্রায় আট হাজার গান লিখেছেন বলে জানান খান মোহাম্মদ মজনু। এর মধ্যে ‘আইলাম আর গেলাম’, ‘যৌবন জোয়ার একবার আসে রে’, ‘আমি কি তোর আপন ছিলাম না রে জরিনা’, ‘কে বলে মানুষ মরে’, ‘হিংসা আর নিন্দা ছাড়’, ‘সাদা কাপড় পরলে কিন্তু মনটা সাদা হয় না’সহ বেশ কিছু গান-দারুণ জনপ্রিয় হয়।

কুটি মনসুরের কথা ও সুরে গান গেয়েছেন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত কণ্ঠশিল্পীরা। তাঁদের মধ্যে আছেন সৈয়দ আব্দুল হাদী, এন্ড্রু কিশোর, রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমীন, নীনা হামিদ, রথীন্দ্রনাথ রায়, ফকির আলমগীর, ইন্দ্রমোহন রাজবংশী, ফিরোজ সাঁই, মুজিব পরদেশীসহ অনেকেই।

অসুস্থ হওয়ার মাস দুয়েক আগে বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ থেকে প্রকাশিত হয় কুটি মনসুরের লেখা ‘আমার বঙ্গবন্ধু, আমার একাত্তর’ বইটি।