৮৯ কিলোমিটার রেলপথে এক বছরে নিহত ৯২
ভৈরব রেলওয়ে থানাধীন ৮৯ কিলোমিটার রেলপথে গত এক বছরে ট্রেনে কাটা পড়ে ৯২ জন নিহত হয়েছেন। ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট রেলপথে ভৈরব রেলওয়ে থানাধীন ভৈরব থেকে টঙ্গী পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার এবং ভৈরব থেকে কিশোরগঞ্জ রেলপথের ভৈরব-সরারচর ১৯ কিলোমিটার মিলে মোট ৮৯ কিলোমিটার পথের মধ্যে ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব নিহতের ঘটনা ঘটে।
ভৈরব রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফেরদাউস আহমেদ বিশ্বাস জানান, যাত্রীদের অসতর্ক রেলভ্রমণ, ছাদে ভ্রমণ, দুই বগির মধ্যস্থলে ভ্রমণ, স্টেশনের ওভারব্রিজ ব্যবহার না করে ঝুঁকিপূর্ণ রেললাইন পারাপার, চলতি ট্রেনে ওঠানামা এবং রেলওয়ের গেটগুলোতে সিগন্যাল অমান্য করে চলাচলের কারণে এসব অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
এই মৃত্যুর মিছিলে ২৪ নারী ও ৬৮ পুরুষ রয়েছেন জানিয়ে তিনি আরো জানান, এসব দুর্ঘটনায় কিছু লোকের পরিচয় পাওয়া গেলেও অধিকাংশই থাকে অজ্ঞাত। ফলে পরিচয় শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা গেলেও বেশিরভাগ মৃতদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করতে হয় তাদের।
এই অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর মিছিল থামাতে তিনি বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিষিদ্ধ আইনগুলো, যেমন—ছাদে ভ্রমণ না করা, দুই বগির মধ্যস্থলে ভ্রমণ না করা, স্টেশনের ওভারব্রিজ ব্যবহার করে পারাপার হওয়া, চলতি ট্রেনে ওঠানামা না করাসহ রেলক্রসিংয়ের গেটগুলোতে সিগন্যাল অমান্য করে চলাচল না করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।