৭ মার্চ ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’ হিসেবে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ
৭ মার্চকে জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস হিসেবে ঘোষণা করে আগামী এক মাসের মধ্যে গেজেট জারি করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলায় যথাযথ স্থানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এক মাসের মধ্যে গেজেট জারি করে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া, ২০০৯ সালে এ সংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশ কেন বাস্তবায়ন করা হয়নি, এক মাসের মধ্যে লিখিতভাবে তা ব্যাখ্যা দিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে পাঠ্য বইয়ে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ইতিহাস কেন অন্তর্ভুক্ত করা হবে না, তা জানতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। মামলার সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতের আদেশের বিষয়টি জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
এর আগে ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর এক রিটের শুনানি নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐতিহাসিক ভাষণের স্থানে মঞ্চ নির্মাণ করে সেখানে তাঁর ভাস্কর্য এবং ৭ মার্চকে ঐতিহাসিক জাতীয় দিবস হিসেবে কেন ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদেরকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
পরে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের স্মৃতি বিজড়িত স্থান রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নিয়ে সরকারের নেওয়া পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট।
২০১৭ সালে এ বিষয়ে রিট করেছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ড. বশির আহমেদ।
এ রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ২০ নভেম্বর বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করেছিলেন।