২৪ ঘণ্টায় ঢাকার চেয়ে চট্টগ্রামে মৃত্যু বেশি
নভেল করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ৯২৬ জনের মৃত্যু হলো। এর মধ্যে চট্টগ্রামে একদিনে ১২ জন ও ঢাকায় ১১ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত নিয়মিত বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, এ ছাড়া দেশে নতুন করে আরো চার হাজার ১৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট এক লাখ ৫৩ হাজার ২৭৭ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক আক্রান্ত হয়েছে। যা গত ২৯ জুন ৪ হাজার ১৪ জন ছিল। সেই রেকর্ড ভেঙে আজ চার হাজার ১৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
নাসিমা সুলতানা বলেন, এই পর্যন্ত দেশে করোনার কারণে মৃত্যুবরণ করেছেন এক হাজার ৯২৬ জনের। এর মধ্যে ১০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ২২ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৬৭ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৪৬ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২৮৫ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৫৬০ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের মধ্যে ৮৩৪ জন মৃত্যুবরণ করেছে।
নাসিমা সুলতানা আরো বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ৯২৬ জনের মৃত্যু হলো। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আরো চার হাজার ১৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট এক লাখ ৫৩ হাজার ২৭৭ জন করোনায় আক্রান্ত কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮ জন মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে পুরুষ ৩২ জন, নারী ছয়জন। এ ছাড়া বয়সের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে দুজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৬ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে আটজন ও ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে সাতজন ও ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে দুজন মৃত্যুবরণ করেছে।
মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২ জন, বরিশাল বিভাগে দুজন, সিলেট বিভাগে দুজন, খুলনা বিভাগে পাঁচজন, রাজশাহী বিভাগে পাঁচজন ও রংপুরে একজন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮ জনের মধ্যে হাসপাতালে ৩৩ জন, বাড়িতে পাঁচজন মৃত্যুবরণ করেছেন। শনাক্তের বিবেচনায় মৃত্যুহার ১ দশমিক ২৬ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ হাজার ৩৬২ জনের পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্য থেকে চার হাজার ১৯ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যা পরীক্ষার ২১ দশমিক ৮৯ শতাংশ শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ হাজার ৯৪৭ জনের নমুনা সংগ্রহ হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় চার হাজার ৩৩৪ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে করোনায় আক্রান্ত মোট ৬৬ হাজার ৪৪২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেলেন। শনাক্তের বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর পরে গত ১৪ এপ্রিল ৩৮ তম দিনে করোনা রোগীর সংখ্যা এক হাজারে দাঁড়ায়। বর্তমানে আজ দেশে এক লাখ ৫৩ হাজার ২৭৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এই পর্যন্ত মোট পরীক্ষা করা হয়েছে আট লাখ দুই হাজার ৬৯৭ জনের শরীরে।