দেশে করোনাভাইরাসের এই প্রাদুর্ভাবের সময়ে জরুরি ভিত্তিতে ৫০ হাজার পিপিই (ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম) তৈরি করছে তৈরি পোশাক খাতের প্রতিষ্ঠান ‘স্নোটেক্স গ্রুপ’। এর মধ্যে ১৭ হাজার পিপিই বিনামূল্যে স্বাস্থ্যকর্মী ও সাংবাদিকদের মাঝে সরবরাহ করা হবে।

পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ, যুক্তরাজ্যভিত্তিক পোশাক কোম্পানি এমঅ্যান্ডএস এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাহায্যে এই ১৭ হাজার পিপিই বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে বলে জানা গেছে।

বাকি ৩৩ হাজার পিপিই সম্পূর্ণরূপে অলাভজনক হিসাবে বিপণন করবে প্রতিষ্ঠানটি।

আজ শনিবার প্রস্তুতকৃত ৫০০ পিপিই সরাসরি চিকিৎসকদের মতামত সংগ্রহের জন্য তাদের কাছে সরবরাহ করবে। পরবর্তী সময়ে এই মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে পিপিইর গঠনে পরিবর্তন বা সংযোজন করা হতে পারে।

আজ থেকে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই ৫০ হাজার পিপিই প্রস্তুত করা হবে বলে জানান স্নোটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এস এম খালেদ। তিনি বলেন, ‘আজ এরই মধ্যে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, বারডেম, ইসলামিক ব্যাংক ফাউন্ডেশন হাসপাতাল, বুয়েটসহ ১০টি প্রতিষ্ঠানের কাছে ৫০ পিস করে মোট ৫০০ পিস বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।’

একইভাবে আগামীকাল আরো দুই হাজার বানানো হবে এবং প্রতিদিনই সেটা চলবে। এসব পিপিই পুনরায় ব্যবহার (রি-ইউজ) করা যাবে।

পিপিই বানানোর উদ্যোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে এস এম খালেদ বলেন, ‘আসলে প্রথমে আমাদের এই বিষয়ে কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না। বিষয়টি জানার জন্য প্রথম দিন আমরা এমএনএসের সঙ্গে কাজ করি। তাদের কাছ থেকে আমরা বিষয়টা শিখে নিই। তার পরের দিন আমরা বুয়েটের সঙ্গে কাজ করি। বুয়েট কর্তৃপক্ষ এটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে দেখায়। পরে আমরা বিষয়টা নিয়ে বিজিএমইএর সঙ্গে কাজ করি।’

বিজিএমইএ ও বুয়েট কর্তৃপক্ষ পিপিইর অনুমোদন নেয় বলে জানান স্নোটেক্স প্রধান। তিনি আরো বলেন, ‘১৭ হাজার পিপিই বিনামূল্যেই দেওয়া হবে। আর ৩৩ হাজার পিপিই অলাভজনক অর্থাৎ তৈরি করার খরচে দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে প্রতিটির দাম হতে পারে ছয়শ টাকার কিছু বেশি।’

এই পিপিই সম্পূর্ণ কাপড়ের তৈরি বলে স্নোটেক্স কর্তৃপক্ষ জানায়। ১০০ ভাগ পলিস্টার টাফেটার ওপরে পিইউ কোটিংয়ের কাপড় দিয়ে এটি বানানো হচ্ছে।

২০০০ সালে বায়িং হাউজের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে ‘স্নোটেক্স’। ২০১১ সালে ‘কাট অ্যান্ড সিউ’ এবং ২০১৪ সালে ‘স্নোটেক্স আউটারওয়্যার’ এবং ২০১৯ সালে ‘স্নোটেক্স স্পোর্টসওয়্যার লিমিটেড’ প্রতিষ্ঠা করা হয়।

এ ছাড়া তাদের লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ‘সারা’ বাংলাদেশের বাজারে বেশ জনপ্রিয়।