১০ হাজার ৭৮৯ রাজাকারের তালিকা প্রকাশ
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী ও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস ও স্বাধীনতাবিরোধীদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। প্রথম পর্বে ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এই তালিকা পাওয়া যাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে (molwa.gov.bd)।
আজ রোববার দুপুরে সচিবালয় সংলগ্ন সরকারি পরিবহন পুল ভবনের ছয় তলায় অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই তালিকা প্রকাশ করার কথা জানান মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, ‘যারা রাজাকার হিসেবে সরকারি গেজেটভুক্ত হয়ে পাকিস্তানি আর্মির সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন, তাঁদের তালিকা এটি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এই তালিকা সংরক্ষিত ছিল, সেখান থেকে আমরা সংগ্রহ করেছি। আজ থেকে এটি মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।’ এ তালিকার রাজাকাররা কে কোন দলে আছেন, এ ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি।
এর বাইরেও রাজাকারদের নাম প্রকাশ করা হবে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘ওই সময় যে পুরোনো ১৯ জেলা ছিল, সেসব জেলা সদরে আমরা চিঠি দিয়েছি। সেখানে কোনো রেকর্ড অথবা গেজেট যদি থাকে, সেগুলোও পাঠাতে বলা হয়েছে। সেগুলো যাচাই করে আগামী ২৬ মার্চের মধ্যে আমরা প্রকাশ করব।’
এক সঙ্গে কেন রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করা হলো না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এর আগেই ওই জেলাগুলোকে তাগাদা দিয়েছিলাম। কিন্তু সাড়া পাইনি।’
এই তালিকা অনুযায়ী রাজাকারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে মোজাম্মেল হক বলেন, ‘এটা সামাজিক সচেতনতা ও জনগণকে অবহিত করার জন্য। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ এখন নেই। যদি গেজেট প্রকাশ করা হয়, তাহলে মন্ত্রিসভার অনুমোদন লাগবে এবং পার্লামেন্টে পাস করাতে হবে।’
এর আগে গত ৮ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছিলেন, ‘নতুন প্রজন্মকে জানাতেই স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী রাজাকারদের নাম প্রকাশের এমন উদ্যোগ সরকার নিয়েছে। বিসিএস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠ্যবইয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারদের ভূমিকা নিয়ে লেখা সংযুক্ত করা হবে।’
এরপর গত ৮ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও সংবাদ সম্মেলন করে যথাযথভাবে রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করার জন্য দাবি জানানো হয়।