১০০০ শয্যার করোনা হাসপাতালের যাত্রা শুরু
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা দিতে দেশের সবচেয়ে বড় করোনা হাসপাতাল যাত্রা শুরু করেছে। আজ রোববার রাজধানীর মহাখালীর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ভবনে যাত্রা শুরু করেছে এক হাজার শয্যার করোনা হাসপাতাল।
আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হাসপাতালটির উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন। এ সময় তিনি বলেন, ‘আগামীকাল সোমবার থেকেই হাসপাতালটিতে রোগী ভর্তি শুরু হবে।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘মাত্র ২০ দিনের মধ্যে পুরো হাসপাতালটি গুছিয়ে এনেছেন অনেকেই। এই হাসপাতালের সঙ্গে যারা ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ছিলেন এবং আছেন, তাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। হাসপাতালের কিছু কাজ এখনও বাকি আছে। দ্রুতই সেসব কাজ সম্পন্ন করা হবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘হাসপাতালটিতে আইসিইউ বেড আছে ১১২টি। এইচডিইউ বেড আড়াইশটি। এ ছাড়া ১৩৮টি আইসিইউ মানের বেড রয়েছে। এই বেডগুলো কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সিস্টেমের সঙ্গে যুক্ত। হাসপাতালটিতে জরুরি ওয়ার্ডে ৫০টি বেড রাখা হয়েছে। ৫০টির মধ্যে ৩০টি পুরুষের জন্য ও ২০ নারীদের জন্য। বাকি ৪৫০টি বেডে অতিরিক্ত ঝুঁকিপূর্ণ নয় এমন করোনা রোগীদের রাখা হবে।’
‘দেড় মাসে ১০ গুন বেশি সংক্রমণ’
এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী পরিসংখ্যান দিয়ে বলেন, ‘গত দেড় মাসে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ ৬০ হাজার ব্যক্তি। তার আগের দেড় মাসে মাত্র ১৫ হাজার ব্যক্তি সংক্রমিত হয়েছিল। অর্থাৎ ১০ গুন বেশি সংক্রমিত হলো। হাসপাতালে রোগী ১০ গুন বেশি এসেছে কিন্তু মৃত্যুহার বেড়েছে পাঁচ গুন। তার আগের দেড় মাসে ৩৫০ জন মারা গিয়েছিল।’
জাহিদ মালেক আরও বলেন, ‘গোটা বিশ্বের মতো কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আমাদের দেশেও হানা দিয়েছে। কোভিডে আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা দিন দিন ভীতিকর হচ্ছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ঢাকার সব হাসপাতালের আইসিইউ বেড পূর্ণ হয়ে গেছে। প্রতিদিনই আইসিইউ চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ রকম একটি কঠিন সময়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় জরুরি ভিত্তিতে ডিএনসিসির এই মার্কেটটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে উদ্বোধন করা হলো।’
পরে ডিএনসিসি ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির বলেন, ‘আগামীকাল সোমবার ৫০টি আইসিইউ বেড, ৫০টি জরুরি বেড ও ১৫০টি সাধারণ বেড নিয়ে শুরু হচ্ছে হাসপাতালের কার্যক্রম। সকাল ৮টা থেকে এই হাসপাতালে রোগী ভর্তি শুরু হবে।’
উদ্বোধনকালে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ বি এম খুরশিদ আলম, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ, মেজর জেনারেল মো. মাহাবুবুর রহমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মঞ্জুর আহমেদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বশির প্রমুখ।