দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে ২৬ মার্চ দেশের বিভিন্ন স্থানে হেফাজতে ইসলাম যে ত্রাস ও তাণ্ডব চালিয়েছিলে তার সঙ্গে বিএনপি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিল বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এর আগেও ভাস্কর্য ইস্যুতেও দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে ত্রাস সৃষ্টিতে হেফাজতকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মদদ দিয়েছিল বিএনপি। দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার যত প্রয়াস তার সবগুলোর সঙ্গেই বিএনপি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত।’

আজ বৃহস্পতিবার সকালে সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন। এ সময় ঈদকে সামনে রেখে করোনানাকালীন এ সংকটে রাজনৈতিক ব্লেম গেইম থেকে বিরত থাকা সবার দায়িত্ব ও কর্তব্য বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বিএনপির মহাসচিব সরকারের সমালোচনার নামে এমন সব বিষয়ের অবতারণা করেন, যার জবাব আওয়ামী লীগকে দিতে হয় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, যদিও যা জানতে চাই, তার জবাব তাদের কাছে পাই না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়ার ভুয়া জন্মদিবস নিয়ে জাতির কাছে যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে, তার সঠিক জবাব বিএনপির পক্ষ থেকে আজও পাওয়া যায়নি। ১৫ আগস্টের মতো নৃশংস হত্যা দিবসে ভুয়া জন্মদিন পালনের জন্য মির্জা ফখরুল ইসলাম জাতির কাছে ক্ষমা চাইবেন, এটাই মানুষ আশা করেছিল। তিনি তা না করে প্রতিদিনই এক-একটা বিষয় নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে যাচ্ছেন।

সরকার নাকি বাংলাদেশে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করছে, বিএনপি মহাসচিবের এই বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার নয়, ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করছে বিএনপি। যেমনটি তারা ২০০১ সালে করেছিল। ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর দেশের মানুষের ওপর নির্যাতনের স্টিমরোলার চালিয়েছিল বিএনপি সরকার। ২১ হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শাসনামলে আওয়ামী লীগের হাজারো নেতাকর্মীর রক্তে দেশকে মৃত্যু উপত্যকা বানানো হয়েছিলো উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গুম, হত্যা, খুন, ধর্ষণ ও নির্যাতনের রূপান্তর করেছিল তারা।

ওবায়দুল কাদের বিএনপির নেতাদের স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, মাহিমা, রহিমা, পূর্ণিমাসহ শত শত নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছিল তা কি ভুলে গেছে বিএনপি? তিনি আরও বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন একাত্তরের পাক-হানাদারের নির্যাতনকেও হার মানিয়েছিল।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপির নেতাদের আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, কলঙ্কিত ইতিহাস আর বিকৃত অবয়ব ছাড়া আর কিছুই দেখতে পারবেন না আয়নায়। তাই বিএনপির নেতাদের মুখে এসব কথা শুনলে হাসি পায়।