হেফাজতের আরেক সহকারী মহাসচিব গ্রেপ্তার
এবার হেফাজতে ইসলামের সহকারী মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমেদকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। আজ শনিবার দুপুরে মোহাম্মদপুরের নিজ বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার মো. মাহবুব আলম বিকেলে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ের নাশকতার ঘটনায় এবং হেফাজতে ইসলামের নেতাদের বিরুদ্ধে পুরনো মামলায় জালাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে হেফাজতের ছয় নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি।
জালাল উদ্দিন আহমেদ খেলাফতে মজলিশের যুগ্ম মহাসচিব এবং সংগঠনটির ঢাকা মহানগরের সহসাধারণ সম্পাদক।
এর আগে গতকাল শুক্রবার বিকেলে রাজধানীতে হেফাজতে ইসলামের আরেক নেতা মোহাম্মদ যোবায়েরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুরান ঢাকার লালবাগ এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ। যোবায়ের হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরের নায়েবে আমিরের দায়িত্বে রয়েছেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে ‘গেস্ট অব অনার’ হিসেবে যোগ দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু মোদির সফরের বিরোধিতা করে হেফাজতে ইসলামসহ বেশকিছু রাজনৈতিক দল ও সংগঠন।
এই প্রতিবাদের জের ধরে ঢাকায় ব্যাপকভাবে সহিংস ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বিক্ষোভের সময় চারজন নিহতের ঘটনাও ঘটে। এরপর দুদিন ধরে সহিংসতা হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারায়ণগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেও একাধিক প্রাণহানীর ঘটনাও ঘটে। হামলা ও ভাঙচুর করা হয় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে।
এসব ঘটনায় দেশের বিভিন্ন স্থানে মামলা হয়েছে; যাতে হেফাজতে ইসলামের নেতাদের নামও রয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত হাজার হাজার মানুষকে এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে। এসব মামলায় এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন হেফাজতে ইসলামের নেতাকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকার মতিঝিলে তাণ্ডবের ঘটনায়ও অনেক হেফাজতে ইসলামের নেতার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। সেসব মামলায়ও গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে নেতাদের।
এর আগে বিভিন্ন সময়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমির মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নেজামে ইসলাম পার্টির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল ইসলাম ইসলামাবাদী, হেফাজতে ইসলামের সহকারী মহাসচিব ও লালবাগ মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা শাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মাদানীনগর মাদরাসার মুহাদ্দিস মুফতি বশির উল্লাহ প্রমুখ গ্রেপ্তার হন।