হিলিতে পেঁয়াজের দামে অস্থিরতা
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকলেও গত দুই দিনের ব্যবধানে মানভেদে পাইকারি বাজারে সব ধরনের পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ১০-১২ টাকা বেড়েছে। আর খুচরা বাজারে বেড়েছে ১৪-১৫ টাকা।
আজ শনিবার দুপুরে হিলি স্থলবন্দরের মোকাম ঘুরে দেখা গেছে, ভারতের নাসিক জাতের পেঁয়াজ পাইকারী বিক্রি হচ্ছে ৪৪-৪৬ টাকা দরে। যা গেল দুই দিন আগেও বিক্রি হয়েছে ৩৫-৩৬ টাকা কেজি দরে। আর ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ ৩০-৩২ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে দেশীয় পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৫৮-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
হঠাৎ করে পেঁয়াজের দামের অস্থিরতায় বিপাকে পড়েছে ভোক্তারা।
হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদার তুলনায় ভারত থেকে কম আমদানি হচ্ছে। এ কারণে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। তবে স্বাভাবিক হলে দাম কমে আসবে বলে আশা তাদের।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা ক্রেতা আলমগীর হোসেন, কবির মাহমুদ, লায়লা বানু জানান, রান্নার প্রায় সব ধরনের কাজে পেঁয়াজ একটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। দুই দিন আগেও খুচরা বাজারে ইন্ডিয়ার পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৫-৩৬ টাকা কেজি। এখন কিনতে এসে শুনছি কেজিতে ১০-১২ টাকা বেড়ে বেচা-কেনা হচ্ছে। সব ধরনের পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। প্রতিদিন যদি এভাবে দাম বাড়ে তাহলে আমরা স্বল্প আয়ের ক্রেতারা কিভাবে চাহিদা মিটাব। অসাধু ব্যবসায়ীরা নিজের ইচ্ছে মতো সব পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে। তারা কাঁচাবাজার প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
বাজারের পেঁয়াজের খুচরা বিক্রেতা মঈনুল শেখ ও ফেরদৌস হোসেন বলেন, আমরা খুচরা ব্যবসায়ীরা গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার আমদানি করা যে পেঁয়াজ ৩৮-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। আজ সেই মানের পেঁয়াজ ৫০ টাকায় বিক্রি করছি। আবার দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। বাজারে সরবরাহ কম থাকার কারণে দাম বাড়ছে। দাম বাড়া বা কমার পেছনে আমাদের কারও কোনো কারসাজি নেই।
এদিকে হিলি স্থলবন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক জানান, গত বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) ভারত থেকে ২১ ট্রাকে ৫৭১ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। আজ শনিবারও বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। গত সপ্তাহে ২৫-৩০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হলেও বর্তমানে তা কমে ১৮-২০ ট্রাক নেমে এসেছে।
বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ জানান, ভারত থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি কিছুটা কমে গেছে। এ ছাড়া ভারতে বেশি দামে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। এ কারণে দাম বেড়েছে। তবে আমদানি বাড়লে দাম কমে আসবে।