হাসপাতালে রোগীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন : ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালে রোগীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে পত্র-পত্রিকায় রিপোর্ট আসছে। আমি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখার অনুরোধ করছি এবং হাসপাতাল নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে আরো কঠোর হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
আজ শুক্রবার সকালে সংসদ ভবন এলাকায় সরকারি বাসভবন থেকে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপ-কমিটির উদ্যোগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ ও চিকিৎসা সহায়তা নিয়ে অনলাইন প্রশিক্ষণে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
এ সময় গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি না মানা এবং অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়টির কথা উল্লেখ করে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি না মানা এবং ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে জনগণ সমালোচনামুখর। এই অবস্থায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এবং অর্ধেক আসনের বেশি যাত্রী উঠানো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের শামিল।’
করোনাভাইরাসের মহামারিতে সরকারের উদ্যোগের কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘করোনা মহামারি একটি বৈশ্বিক সংকট। পৃথিবীর ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে মহামারি ছড়িয়ে পড়েছে। আক্রান্ত ও সংক্রমণ বিস্তারের দিক থেকে গতকাল পর্যন্ত বাংলাদেশের অবস্থান ২১তম স্থানে। দেশে এ সংক্রমণের মাত্রা দিন দিন বাড়ছে।’
‘আপনারা দেখেছেন, উন্নত বিশ্বের দেশগুলো অর্থনীতির শক্ত ভিত এবং স্বাস্থ্য খাতের সক্ষমতা নিয়েও কী অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে এই মহামারির কাছে। একটি রোগ যখন মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে তখন বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা দিয়ে তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন। তখন প্রয়োজন পড়ে বিশেষ ব্যবস্থাপনা, সমাজের সব স্তরের মানুষের ঐক্য ও সচেতনতা, সবার সম্মিলিত ও সমন্বিত প্রয়াস।’
সবাই সচেতন হলে করোনার এ গহীন আঁধার নিশ্চয়ই কেটে যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের অসহায় মানুষের পাশে থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করুন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের আশার বাতিঘর। তিনি সবার পাশে আছেন। আসুন, আমরা তাঁর হাতকে শক্তিশালী করি। সমন্বয়ের মাধ্যমে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করি। সবাই সচেতন হলে করোনার এ গহীন আঁধার নিশ্চয়ই কেটে যাবে।’
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ ও চিকিৎসা সহায়তা বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে অনলাইন প্রশিক্ষণের প্রশংসা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি এই উদ্যোগ পর্যায়ক্রমে বিভাগ থেকে জেলা হয়ে উপজেলা পর্যন্ত ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানাই। এ প্রশিক্ষণ থেকে অর্জিত জ্ঞান আপনারা অনলাইনে অধিক সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে দিন। প্রযুক্তির সহায়তায় পৌঁছে যান প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে।’