হার্ডবোর্ড ছুড়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীর মাথা জখম করলেন শিক্ষক
এসএসসি পরীক্ষার্থীকে মাথায় হার্ডবোর্ড নিক্ষেপ করে রক্তাক্ত করলেন কেন্দ্রে দায়িত্বরত এক শিক্ষক। আজ সোমবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলার আছমত আলী খান পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। পরে কেন্দ্র সচিব ও উপজেলা প্রশাসন, অভিযুক্ত শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন।
প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক শিক্ষার্থী ও কেন্দ্রে দায়িত্বরত কর্মকর্তরা জানান, সকাল পৌন ১০টার দিকে আছমত আলী খান পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষায় ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিষয়ের পরীক্ষায় অংশ নিতে রাকিবুল মৃধাসহ অন্যরাও পরীক্ষার হলে ঢোকে। এ সময় রাকিবুল মৃধার বিরুদ্ধে উত্তরপত্র ভরাট না করার অভিযোগ তুলে ওই কক্ষের শিক্ষক পরিদর্শক আবুল হোসেন তার ওপর খেপে যান।
একপর্যায়ে রাকিবুলের হার্ডবোড তার দিকে ছুড়ে মারেন শিক্ষক। এতে হার্ডবোডের লোহার পাতে শিক্ষার্থীর মাথা কেটে রক্ত ঝরতে থাকে। পরে অন্য শিক্ষকরা দ্রুত এগিয়ে এসে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করান। এতে প্রায় আধাঘণ্টা পরে ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসেন। এ ঘটনায় কেন্দ্র সচিব মো. হুমায়ন কবির তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত শিক্ষক আবুল হোসেনকে পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন।
এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর অভিভাবক ও স্থানীয়রা ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন। আহত শিক্ষার্থী মাদারীপুর পৌর শহরের ইউনাইটেড ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি সদর উপজেলার রাস্তি ইউনিয়নের পূর্ব রাস্তি গ্রামে। আর অভিযুক্ত শিক্ষক আছমত আলী খান পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে ইংরেজি বিষয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক। এ ঘটনার পর ওই কেন্দ্রে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
অভিযুক্ত শিক্ষক আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি ইচ্ছে করে ওই শিক্ষার্থীকে হার্ডবোড নিক্ষেপ করিনি। ওই ছাত্রকে বার বার বলার পরও উত্তরপত্রের ওয়েমার ঠিক করছিল না। পরে রাগ হয়ে হার্ডবোর্ড ছুড়ে মারলে তার মাথা কিছুটা কেটে গেছে। এজন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।’
কেন্দ্র সবিচ মো. হুমায়ন কবির বলেন, ‘আমি তাৎক্ষণিকভাবে ওই শিক্ষককে সব দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দিয়েছি। আছমত আলী খান পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের ওই খণ্ডকালীন ইংরেজি শিক্ষককে স্কুল থেকেও অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হবে।’