হাটহাজারী বড় মাদ্রাসার আমৃত্যু মহাপরিচালক শাহ আহমদ শফী
চট্টগ্রামের আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারীর (বড় মাদ্রাসা) শুরা কমিটির বৈঠকে মাদ্রাসার মহাপরিচালক হিসেবে আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে বহাল রাখা হয়েছে। সহযোগী মহাপরিচালকের (নায়েবে মুহতামিম) দায়িত্ব পালনকারী জুনাইদ বাবুনগরীর স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে মাদ্রাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস ও শাইখুল হাদিস মাওলানা শেখ আহমদকে।
আজ বুধবার বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মাদ্রাসার কার্যালয়ে আয়োজিত শুরা কমিটির বৈঠকে ১১ জন শুরা সদস্যের উপস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
মাদ্রাসার সহযোগী মহাপরিচালক নিয়োগের ব্যাপারে সম্ভাব্য বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় প্রশাসন ছিল সতর্ক অবস্থায়। শুরা কমিটির বৈঠকে মাদ্রাসার মহাপরিচালক হিসেবে আমৃত্যু আল্লামা শাহ আহম্মদ শফীকে বহাল রাখা হয়েছে। তা ছাড়া সহযোগী মহাপরিচালকের (নায়েবে মুহতামিম) দায়িত্ব পালনকারী জুনাইদ বাবুনগরীর অসুস্থতা এবং আল্লামা আহমদ শফীর অভিযোগে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে মাদ্রাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস প্রবীণ আলেম মাওলানা শেখ আহমদকে। মুফতি আজম আবদুস সালামকে স্বপদে বহাল রাখা হয়েছে।
মাদ্রাসার কার্যালয়ে আয়োজিত শুরা কমিটির বৈঠকে উপস্থিত কর্মকর্তারা হলেন আল্লামা শাহ আহমদ শফী, আল্লামা আব্দুল কুদ্দুস, মুফতি নুরুল আমিন, মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদী, মাওলানা নোমান ফয়জী, মাওলানা সালাহউদ্দিন নানুপুরী, মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফতেপুরী, মাওলানা আবুল হাসান, মাওলানা আবুল কাসেম, মাওলানা ওমর ফারুক ও মাওলানা সোহাইব নোমানী।
গতকাল মঙ্গলবার থেকে হাটহাজারী-নাজিরহাট মহাসড়কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে ছিল। হঠাৎ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর অবস্থান দেখে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। অবশেষে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে কোনো বিশৃঙ্খলা ছাড়ায় শুরা কমিটির বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
জানা যায়, উপমহাদেশের অন্যতম বৃহৎ দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসা। এ মাদ্রাসা প্রায় ১২০ বছর ধরে দেওবন্দের পাঠ্যসূচিতে পরিচালিত হয়ে আসছে। দেশের মাদ্রাসাগুলোর মধ্যে এটি সর্বপ্রাচীন ও বৃহত্তম কওমি মাদ্রাসা। বর্তমানে এ মাদ্রাসার মহাপরিচালকের (মুহতামিম) দায়িত্ব পালন করছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী। তিনি কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ বোর্ড আল হাইয়াতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ (হাইয়াতুল উলয়া) ও কওমি মাদ্রাসা বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ারও (বেফাক) সভাপতি। তা ছাড়া মাদ্রাসার সহযোগী পরিচালকের (নায়েবে মুহতামিম) দায়িত্ব পালন করছিলেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব জুনাইদ বাবুনগরী। মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী দীর্ঘদিন থেকে বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ায় আজ শুরা কমিটি বৈঠকের আয়োজন করেন।