হাইকোর্টের নির্দেশ না মেনেই চলছে অবৈধ ইটভাটা
হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করেই মানিকগঞ্জে চলছে অবৈধ ইটভাটা। এসব ইটভাটায় প্রশাসনিকভাবে অভিযান পরিচালনা করা হলেও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি ভাটায় ইট পোড়ানোর কাজ। ফলে কমছে না পরিবেশদূষণও। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ খবর জানিয়েছে।
মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, মানিকগঞ্জের সাত উপজেলায় মোট ১৪৯টি ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগেরই লাইসেন্স, পরিবেশ ছাড়পত্রসহ আনুষঙ্গিক হালনাগাদ কাগজপত্র নেই।
হাইকোর্টের নির্দেশে গত বছরের ডিসেম্বরে ওইসব অবৈধ ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। প্রথম পর্যায়ের অভিযানে তমা ব্রিকস লিমিটেড ও মানিকগঞ্জ ব্রিকস লিমিটেড নামে দুটি ভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে সিলগালা করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া আরো অন্তত ৩০টি ভাটার কার্যক্রম আংশিক বন্ধ করে জরিমানা আদায় করা হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের প্রথম দফা অভিযানে কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া অবৈধ ইটভাটাগুলোর মালিকরা প্রশাসনকে বিভিন্নভাবে মানিয়ে ইট পোড়ানোর কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
মানিকগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক খালেদ হাসান জানান, মানিকগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরে জনবল সংকট রয়েছে। নিয়মিত ১৪ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিপরীতে বর্তমানে রয়েছেন মাত্র চারজন। এর ফলে নিয়মিত অভিযান চালানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে জেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে তিন দফায় অভিযান চালিয়ে ৩০টির মতো ইটভাটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
তবে বন্ধ করে দেওয়া ভাটাগুলোর মধ্যে কয়েকটি গোপনে আংশিক চালু রয়েছে বলে স্বীকার করে শিগগিরই জেলা প্রশাসনের সমন্বয় আবার অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানান খালেদ হাসান।
জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস বলেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশের পরপরই মানিকগঞ্জের অবৈধ ইটভাটা বন্ধে অভিযান শুরু করা হয় এবং তা অব্যাহত আছে। প্রতিটি উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে এবং যেসব ইটভাটার লাইসেন্স বা পরিবেশ ছাড়পত্র নেই, সেগুলোকে বন্ধ করা হচ্ছে। আর যারা কাগজপত্র নবায়নের জন্য জমা দিয়েছে, তাদের ভাটাগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে।’
তবে পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ কিংবা তিন ফসলি জমির মধ্যে যেসব ভাটা স্থাপন করা হয়েছে, সেগুলোর কাগজপত্র সঠিক থাকলেও নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সেসব ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।