হলুদ মিছিলে ডাকছে সূর্যমুখী
হলুদ স্বপ্ন নিয়ে মিষ্টি রোদের বিকেলে মুখ তুলে তাকিয়ে আছে হাজারো সূর্যমুখী। যেন হলুদের প্রাণবন্ত মিছিল। আর তাদের মিছিলে যোগ দিয়েছে শত শত প্রকৃতিপ্রেমী।
পাবনার টেবুনিয়ায় বিএডিসির তৈলবীজ খামারে সূর্যমুখীর বাগান দেখে দর্শনার্থীরা মুগ্ধ। কর্তৃপক্ষ বলছে তেলবীজ উৎপাদনের জন্য এই সূর্যমুখী চাষ করা হলেও এর অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিন শত শত তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সের মানুষ ভিড় করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পাবনা শহরের অদূরে টেবুনিয়া কৃষি খামারে বিএডিসি ডাল ও তৈলবীজ উৎপাদনে ৯ একর জমিতে নতুন জাতের সূর্যমুখীর চাষ করা হয়েছে। প্রতি একরে ৪০০ কেজি করে মোট তিন হাজার ৬০০ কেজি তৈলবীজ উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন কর্মকর্তারা। এই বীজ দিয়ে আগামী মওসুমে কমপক্ষে ৭২০ একর জমিতে সূর্যমুখী চাষ হবে বলে জানিয়েছে তারা। ফলে সারা দেশে সূর্যমুখীর চাষ বৃদ্ধি পাবে।
তেলবীজ উৎপাদনের পাশাপাশি অনেকে এটিকে বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করছে। এখানে আসা দর্শনার্থীরা ফুলের বাগানে নিজেদের সেলফি তুলছে।
বিএডিসির কর্মকর্তা ও পুষ্টি বিজ্ঞানীরা বলেছেন, সূর্যমুখী তেল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। সরকার এজন্য সূর্যমুখী চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে বারী-৩ জাতের আবহাওয়ায় উপযোগী তৈলবীজ চাষের এই উদ্যোগ নিয়েছে। এতে করে দেশে সূর্যমুখী চাষ বাড়বে এবং মানুষের স্বাস্থ্যের সুরক্ষা হবে।
সূর্যমুখী ক্ষেত দেখতে আসা পাবনা শহরের লস্করপুরের গৃহিনী শাহানা সানু বলেন, ‘এত সুন্দর সূর্যমুখী বাগান আমাদের সবার মন কেড়েছে। ফেসবুকে দেখে আমরা এখানে বেড়াতে এসেছি।’
পাবনা শহরের আরিফপুরের সাজিয়া শারমীন সোমা বিশ্বাস তাঁর অনুভূতি জানিয়ে বলেন, ‘এখানে এসে আমাদের প্রাণ জুড়িয়ে গেছে। এত সুন্দর বাগান তা নিজ চোখে না দেখলে বুঝতে পারতাম না।’
বিএডিসি ডাল ও তৈলবীজ বিভাগ পাবনার উপপরিচালক ড. শামীম আহমেদ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘পাবনায় তেমন কোনো বিনোদনের জায়গা না থাকায় এই সূর্যমুখী ক্ষেত দেখতে মানুষ আসছে। তারা অনেকেই বাগানের মধ্যে ঢুকে ছবি তুলছে। তৈলবীজ উৎপাদনের পাশাপাশি মানুষও বিনোদন পাওয়ায় খুশি আমরা বিএডিসির কর্মকর্তারা।’