সড়কে মামলা দিতে ধীরে চলছে বিআরটিএ, প্রথম দিনে ৮৮টি
নতুন সড়ক পরিবহন আইন ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও অনুষ্ঠানিকভাবে আজ সোমবার থেকে প্রয়োগ শুরু করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। আইন কার্যকরের প্রথম দিনই রাজধানীতে মোট ৮৮টি মামলা দায়ের করেছেন বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালত। জরিমানা আদায় করেছেন এক লাখ ২১ হাজার ৯০০ টাকা।
আজ সোমবার বিকেলে বিআরটিএর পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) এ কে এম মাসুদুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
এ কে এম মাসুদুর রহমান বলেন, ‘আজ সকাল থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীতে মোট আটটি ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করেন। এসব অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। যানবাহনের ফিটনেস না থাকা, সঠিক কাগজপত্র দেখাতে না পারাসহ নতুন সড়ক আইন বহির্ভূত কাজ করায় মোট ৮৮টি মামলা দায়ের করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এই মামলাগুলোতে জরিমানা করা হয়েছে এক লাখ ২১ হাজার ৯০০ টাকা।’
বিআরটিএর পরিচালক আরো বলেন, ‘আমাদের অভিযান চলতে থাকবে। আগামীকালও চলবে অভিযান। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে থাকবেন। অনিয়ম করলে মামলা ও জরিমানা করা হবে। সাজার পরিমাণ একটু বেশি হলে সাধারণত ভয়ও কাজ করবে অনিয়মকারীদের ভেতরে। এতে সড়কে নৈরাজ্য কমে আসবে বলে আমি মনে করছি।’
মোট আটটি ভ্রাম্যমাণ আদালতের ভেতরে রাজধানীর সংসদ মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় পৃথক দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করেন। দুই স্থানে মোট ৩০টি মামলা এবং ২৭ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেছে বলে জানিয়েছেন মাসুদুর রহমান। তিনি বলেন, রাজধানীর উত্তরা, বনানী, মতিঝিল, মিরপুর, যাত্রাবাড়ী ও মানিক মিয়া এভিনিউ এলাকায় মোট আটটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে।
আমাদের এই অভিযান চলতে থাকবে। আমরা মনে করি, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সাধারণ মানুষ এবং চালকরা আমাদের সাহায্য করবে।’
ভ্রাম্যমাণ আদালত ৮-এর অধীনে ১০টি মামলা করে সাড়ে ১২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। আদালত ৮-এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন সারাহ সাদিয়া তাজনীন। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘প্রথম দিনে আমরা চেষ্টা করেছি মানুষকে সচেতন করতে। এর ভেতরে যাদের অপরাধ বেশি তাদের মামলা ও জরিমানা দেওয়া হয়েছে। আগামীকালও আমরা মাঠে থাকব। ধীরে ধীরে মামলা ও জরিমানার হার বেশি হবে।’
সারাহ সাদিয়া তাজনীন আরো বলেন, ‘অনিয়মের শেষ নেই সড়কে। মামলা ও জরিমানা আইন অনুযায়ী সঠিকভাবে মামলা আর জরিমানা দিলে অনেক পরিবহনই রাস্তায় নামতে পারবে না। প্রথম দিক বলে আমরাও একটু কম গতিতে সামনের দিকে হাঁটছি আর সচেতন হতে পরামর্শ দিচ্ছি। আজ সড়কে দেখা গেছে, অনেক পরিবহনেরই লাইসেন্স নেই। আবার লাইসেন্স থাকলেও ফিটনেস ঠিক নেই। এ ছাড়া ভাড়ার চার্ট ও সংরক্ষিত আসনসহ নানা স্থানে অনিয়মে ভরা। এগুলো ঠিক করতে হলে সঠিকভাবে আইন প্রয়োগ করতে হবে।’