স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতাল ও প্রতিষ্ঠানের কাজে অনিয়ম- দুর্নীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ১৩ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও তাদের মালিককে কালো তালিকাভুক্ত করতে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বরাবর পাঠানো চিঠিতে দুদক সচিব মুহাম্মাদ দিলোয়ার বখতের পক্ষ থেকে এ অনুরোধ জানানো হয়।

১২ ডিসেম্বর ওই চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য।

যে ১৩ প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করতে দুদক চিঠি দিয়েছে ওই ঠিকাদার ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো হলো-

রহমান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল এবং রূপা ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী মিসেস রুবিনা খান।

মেসার্স অনিক ট্রেডার্স ও তার স্বত্বাধিকারী আবদুল্লাহ আল মামুন।

মেসার্স ম্যানিলা মেডিসিন অ্যান্ড মেসার্স এস কে ট্রেডার্স ও তার স্বত্বাধিকারী মনজুর আহমেদ।

মেসার্স আহমেদ এন্টারপ্রাইজ ও তার স্বত্বাধিকারী মুন্সী ফারুক হোসাইন।

এম এইচ ফার্মা ও তার স্বত্বাধিকারী মোসাদ্দেক হোসেন।

মেসার্স অভি ড্রাগস ও তার স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন।

মেসার্স আলবিরা ফার্মেসি ও তার স্বত্বাধিকারী মো. আলমগীর হোসেন।

এস এম ট্রেডার্স ও তার স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ মিন্টু।

মেসার্স মার্কেন্টাইল ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল ও তার স্বত্বাধিকারী আব্দুস সাত্তার সরকার।

বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানি ও তার স্বত্বাধিকারী জাহির উদ্দিন সরকার।

ইউনিভার্সেল ট্রেড কর্পোরেশন ও তার স্বত্ত্বাধিকারী মোহাম্মদ আসাদুর রহমান।

এ এস এল ও তার মালিক আফতাব আহমেদ।

এবং ব্লেয়ার এভিয়েশন ও তার স্বত্বাধিকারী মো. মোকশেদুল ইসলাম।

দুদকের চিঠিতে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন মেডিক‌্যাল কলেজ, হাসপাতাল ও প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ভারী ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রায়ই অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়। দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট মেডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতালগুলোতে এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে কতিপয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও প্রচলিত বাজার মূল্যের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি দামে বিভিন্ন চিকিৎসা যন্ত্র, ভারী যন্ত্রপাতি ইত্যাদি ক্রয় করে থাকে।

চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে মালামাল সরবরাহ না নিয়েও বিল পরিশোধের ঘটনা ঘটে। এক্ষেত্রে অসাধু ঠিকাদার সিন্ডিকেট গঠন করে এ ধরনের টেন্ডারে অংশগ্রহণ করে। সিন্ডিকেটের কারণে প্রতিযোগিতামূলক দর না পাওয়ায় প্রচলিত বাজারমূল্যের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি দামে বর্ণিত সামগ্রী ক্রয় করতে হয়। এর ফলে বিপুল পরিমাণ সরকারি অর্থ ক্ষতিসাধনসহ আত্মসাতের সুযোগ সৃষ্টি হয়। বিগত কয়েক বছরে এ ধরনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক অনুসন্ধান শেষে কয়েকটি মামলা ও মামলার সঙ্গে জড়িত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি করেছে।

সরকারি অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা ও এ ধরনের দুর্নীতি প্রতারণা ও বিচক্ষণতার সঙ্গে কার্যক্রম অব্যাহত করতে এইসব ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করা প্রয়োজন বলে মনে করে দুদক।