স্বাস্থ্য খাতে অতীতে অনেক দুর্নীতি হয়েছে : স্বাস্থ্য সচিব
স্বাস্থ্য খাতে অতীতে অনেক দুর্নীতি হয়েছে। দুর্নীতি করে পার পেয়ে গেছেন অনেকেই। কিন্তু বর্তমান সরকার কাউকে ছাড় দিচ্ছে না। সেগুলো জনগণকে বুঝতে হবে। বর্তমানে যেখানে অনিয়ম- দুর্নীতি সেখানেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আর সেটি শুধু রাজধানী বা শহরকেন্দ্রিক নয়, উপজেলা পর্যায়েও।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জের ভৈরবের করোনাভাইরাস আইসোলেশন কেন্দ্র ভৈরব ট্রমা সেন্টার পরিদর্শনে এসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান এসব কথা বলেন।
এ সময় স্বাস্থ্য সচিব আরো বলেন, ‘বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সেবা সুনিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য খাতে লোকবলসহ আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম সরবরাহ বৃদ্ধি করেছেন। আমাদের সেগুলোকে কাজে লাগাতে হবে। মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে হবে।’
‘স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি বন্ধ করে দেশের মানুষের চিকিৎসা সেবা উন্নত করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যারা স্বাস্থ্য খাত নিয়ে অন্যায়, অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে মানুষকে হয়রানি করবে, সাধারণ মানুষকে ক্ষতি করবে, তাদেরকে আর ছাড় দেওয়া হবে না। চিকিৎসা নিতে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করলে কেউ রেহাই পাবে না।’
আব্দুল মান্নান বলেন, ‘এখন থেকে সারা দেশের জেলা-উপজেলা এলাকায় সরকারি, বেসরকারি সব হাসপাতালে সাধারণ মানুষ সেবা নিতে পারছে কিনা, তার নজরদারী করা হবে। একজন গরিব মানুষ ডাক্তারের কাছে গেলে অযথা ১০টি টেস্ট দিবে, এসব করতে দেওয়া হবে না।’
স্বাস্থ্য সচিব এ সময় ভৈরব ট্রমা সেন্টারে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন ব্যবস্থা স্থাপনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান। এজন্য তাঁকে একটি চাহিদাপত্র দিতে অনুরোধ করেন।
স্বাস্থ্য সচিবের পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. মজিবুর রহমান, ভৈরব উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ মো. সায়দুল্লাহ মিয়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লুবনা ফারজানা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সেন্টু, ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মিজানুর রহমান কবিরসহ স্থানীয় চিকিৎসকরা।