স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামতে হচ্ছে কক্সবাজার সৈকতে
করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় দেশের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ করেছে স্থানীয় জেলা প্রশাসন। তবে খোলা রয়েছে কক্সবাজারের পর্যটন কেন্দ্র। যারা কক্সবাজারে আসছেন তাদের কড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে সৈকতে নামতে হচ্ছে। এ ছাড়া আজ থেকে সেন্ট মার্টিনে চলাচলরত পর্যটকবাহী জাহাজগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি মানাতে প্রশাসন জনসচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। করোনা সংক্রমণ প্রতিহত করতে সরকারের দেওয়া ১৮ দফা নির্দেশনা পর্যটকরা যাতে মেনে চলে সে লক্ষে কাজ করছে জেলা প্রশাসন। এখন পর্যন্ত সমুদ্র সৈকতসহ জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ করার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
জেলা পুলিশ, টুরিস্ট পুলিশ, র্যাব, আনসারসহ সবাইকে নিয়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা সমুদ্র সৈকতসহ শহরের বিভিন্ন কেন্দ্রে সরকারের দেওয়া ১৮ দফা বাস্তবায়নে কাজ করছে।
আজ দুপুরে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আমিন আল পারভেজের নেতৃত্বে আগত পর্যটক, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সরকারের নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো হয়। এ সময় টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন তাঁর অন্য সদস্যদের নিয়ে উপস্থিত ছিলেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বল্প সংখ্যক পর্যটক যাতে সৈকতে আসে সেটি বাস্তবায়নে কাজ করে।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আমিন আল পারভেজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী হোটেল ও গেস্ট হাউস মালিকরা যাতে হোটেলের অর্ধেক খালি রাখে, গণপরিবহণে অর্ধেক যাত্রী বহন, দূরত্ব বজায় রেখে কমসংখ্যক পর্যটকদের সৈকতে প্রবেশসহ সব নির্দেশনা বাস্তবায়নে সকাল থেকে কাজ করছে জেলা প্রশাসন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পাঁচটি দল সরেজমিনে কাজ করে যাচ্ছে।’
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘কক্সবাজারে মানুষ যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে সে লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। তবে সমুদ্র সৈকতসহ পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন জানান, সৈকতে আসা পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি মানাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে।
হোটেল কক্স টুডের ব্যবস্থাপক (অপারেশন) আবু তালেব জানান, করোনা বৃদ্ধি পাওয়ায় পর্যটকদের আগমন নেই। যারা কক্সবাজারে আসার জন্য হোটেলের কামরা বুকিং দিয়েছিলেন তাঁরা তা বাতিল করে দিচ্ছেন। কক্সবাজার হোটেল-মোটেলগুলো পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে।