স্বাস্থ্যবিধি মেনে উন্নয়নকাজ অব্যাহত রাখুন : তাজুল ইসলাম
বিরাজমান পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বল্প পরিসরে চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর-এলজিইডির মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। নিজ কর্মক্ষেত্র এলাকা ত্যাগ না করতে এবং অতিপ্রয়োজনীয় ছাড়া বাইরে না গিয়ে বাসায় থেকে কাজ করার নির্দেশ দেন তিনি।
আজ সোমবার মন্ত্রণালয় থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এলজিইডির মাঠ পর্যায়ের প্রকৌশলীদের সঙ্গে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পসহ বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
তাজুল ইসলাম বলেন, এলজিইডি, ডিপিএইচইসহ স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন সব প্রতিষ্ঠান দেশের সামগ্রিক উন্নতির চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচিত। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যেহেতু নির্মাণকাজ করা যায়, সে জন্য এটি অব্যাহত রাখতে হবে। এলজিইডি এ দেশের গ্রামীণ উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। যার সঙ্গে মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িয়ে রয়েছে।
জেলা ও উপজেলাসহ সব প্রকৌশলীকে উদ্দেশ করে মন্ত্রী বলেন, উন্নয়নকাজ বন্ধ রাখা যাবে না। নিম্নমানের কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত অথবা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু অথবা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ফৌজদারি মামলা রুজু করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া, ঠিকাদার যদি কাজে কোনো গাফিলতি করে, তার বিরুদ্ধেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তাজুল ইসলাম জানান, রাস্তা ও ব্রিজ নির্মাণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রকল্প নিতে হবে। যত্রতত্র রাস্তা ও ব্রিজ নির্মাণ করা যাবে না। প্রয়োজনে হাইড্রোলজিক্যাল, মরফোলজিক্যাল স্টাডির মাধ্যমে নেভিগেশন সুবিধা নিশ্চিত করে করতে হবে।
উন্নয়নের স্বার্থে যেসব প্রকল্প গ্রহণ করা হয় তার সঠিক প্রাক্কলন করতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, নির্দিষ্ট টাইম শিডিউলের মাধ্যমে টেন্ডার আহ্বান, ইভালুয়েশন করে কাজের নোটিফিকেশন দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে অযথা সময়ক্ষেপণ করা যাবে না বলেও জানান তিনি। এ সময় উন্নয়নকাজ শুরু হওয়ার পর মনিটরিং জোরদার এবং কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করে উন্নয়ন প্রকল্প সময়মতো শেষ করতে সর্বস্তরের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
তাজুল ইসলাম বলেন, সারা পৃথিবীতে যে অপ্রত্যাশিত দুর্যোগ তৈরি হয়েছে—তা মোকাবিলা করেই আমাদের টিকে থাকতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হতে হলে সাড়ে ১২ হাজার ডলার মাথাপিছু আয় দরকার। আর সাড়ে ১২ হাজার ডলার মাথাপিছু আয় করতে হলে অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি সব খাতে ব্যাপক উন্নয়ন দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশীদ খানসহ জেলা ও উপজেলা প্রকৌশলীরা অংশ নেন।