স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সন্দেহে গাছে বেঁধে মারধর, যুবকের মৃত্যু
নওগাঁ সদর উপজেলায় স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সন্দেহে তোফাজ্জল হোসেন (৩৬) নামের এক ব্যক্তিকে গাছের সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নওগাঁ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগের বরাত দিয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানান, অভিযুক্ত তোফাজ্জল হোসেনের সঙ্গে জনৈক ব্যক্তির স্ত্রীর পরকীয়া রয়েছে বলে তিনি সন্দেহ করেন। এই সন্দেহ থেকে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তোফাজ্জল হোসেনকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যান ওই ব্যক্তি ও তাঁর লোকজন। এরপর গাছের সঙ্গে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় মারধর করা হয় তাঁকে।
নিহত তোফাজ্জলের পরিবারের অভিযোগ, তোফাজ্জল গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে ওই ব্যক্তির বাড়ির পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে রাত ১১টা পর্যন্ত গাছের সঙ্গে বেঁধে ওই ব্যক্তি, সোহেল রানা, পরাগ হোসেন, আরিফ ইসলাম ও সেলিনা বেগম তাঁকে মারপিট করেন। পরে তোফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে চুরির আভিযোগ এনে নওগাঁ সদর মডেল থানার পুলিশকে সংবাদ দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তোফাজ্জল হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তাঁকে গ্রহণ না করে হাসপাতালে চিকিৎসার পরামর্শ দেয়। পরে তোফাজ্জল হোসেনকে তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ থানায় ফিরে যায়।
তোফাজ্জল হোসেনকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে রাতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। পরের দিন গতকাল বুধবার সন্ধ্যা থেকে তোফাজ্জল হোসেনের অবস্থার আরো অবনতি হতে থাকে। ওই দিন রাত ১২টার দিকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর হাসপাতালে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
তোফাজ্জল হোসেন মারা যাওয়ার সংবাদে আসামিরা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নওগাঁ সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়।
এ ব্যাপারে নওগাঁর পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান মিয়া বলেছেন, ‘কোনো অসামাজিক কার্যক্রমে জড়িত থাকলে সে ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া অপরাধ। এই হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। খুব দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।’