স্ত্রীকে হত্যার পর সাত টুকরো: স্বামীর জবানবন্দি
গাজীপুরে পোশাককর্মী স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ সাত টুকরো করেন স্বামী জুয়েল আহমেদ। গ্রেপ্তারের পর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সেই ঘটনার রোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন। আজ সোমবার আদালতে এ জবানবন্দি দেন অভিযুক্ত স্বামী জুয়েল।
এর আগে নিহত রেহানা আক্তারের বড় ভাই মো. হোসাইন শহীদ বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জয়দেবপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাকিবুল ইসলাম জানান,ভাইয়ের শ্যালিকা রেহানাকে বিয়ের আগে জুয়েল আরও একটি বিয়ে করেন। ওই সংসারে তাঁর একটি মেয়েও রয়েছে। ছয় মাস আগে জুয়েল ও রেহেনা ভালবেসে পালিয়ে বিয়ে করেন। জুয়েলের আগের বিয়ের কথা জানতেন না রেহানা আক্তার। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়। পারিবারিক কলহের জেরে গত বৃহস্পতিবার রাতে জুয়েল ও রেহানার মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় রেহানাকে মারধর করেন জুয়েল। মারধরের এক পর্যায়ে রেহানা জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে শ্বাসরোধে মৃত্যু নিশ্চিত করে বাজার থেকে একটি ধারালো ছুরি কিনে আনেন। রাতে রেহানার লাশ সাত টুকরো করে কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে তিনটি বস্তায় ভরেন। পরে বস্তাগুলো বাসার পাশের টয়লেটের একটি সেপটিক ট্যাংক সংলগ্ন ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে রেখে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে থাকেন জুয়েল। গত রোববার দুর্গন্ধের সূত্র ধরে সদর উপজেলার মনিপুর এলাকা থেকে লাশের টুকরোগুলো পুলিশ উদ্ধার করে। এ সময় নিহতের স্বামী জুয়েলকে গ্রেপ্তার ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি জব্দ করা হয়।
এসআই আরও জানান, আজ আসামিকে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে জুয়েল আহমেদ স্ত্রীকে হত্যার বর্ণণা দিয়ে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।